অবশেষে অ-ইউরোপীয় অভিবাসীদের উপর কঠোর নীতি আরোপ করতে চলেছেন পর্তুগালের নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনিগ্রো। উদার অভিবাসন নীতির দেশ নামে পরিচিত পর্তুগালের জনসংখ্যা ও অভিবাসী সংখ্যার মধ্যে সামঞ্জস্যতা আনতেই এই সিদ্ধান্ত মনে করছে বিশ্লেষকরা।
সোমবার পর্তুগালের নতুন সরকার বিদ্যমান অভিবাসন আইন বাতিল ঘোষণা করে। এর আগে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে থেকে আসা অভিবাসীদের কোনো কর্মসংস্থানের চুক্তি ছাড়াই পর্তুগালে থাকার অনুমতি দেওয়া হতো। এক বছর সামাজিক নিরাপত্তা কর প্রদানের পর তারা বসবাসের অনুমতির জন্য আবেদন করতে পারতেন। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী, অভিবাসীদের এখন পর্তুগালে আসার আগে অবশ্যই কর্মসংস্থানের চুক্তি থাকতে হবে।
ইউরোপের সবথেকে উদার অভিবাসন নীতির দেশ ছিল পর্তুগাল। কিন্তু সাম্প্রতিককালে ডানপন্থী রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে ঝুঁকছে দেশটি। যার ফলে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ একটি প্রধান ইস্যু হয়ে উঠেছে। নতুন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টিনিগ্রো বলেছেন, পর্তুগালে অভিবাসীদের আগমনের নীতির ‘অতিরিক্ত অপব্যবহার’ বন্ধ করতে চান তিনি।
গত পাঁচ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে পর্তুগালের বিদেশী জনসংখ্যা। খামারে এবং রেস্তোরাঁয় কাজ করতে এশিয়া থেকে অনেকেই পাড়ি জমিয়েছে দেশটিতে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ১০ লক্ষ বিদেশী রয়েছেন, যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক দশমাংশ। গত বছরে ১ লাখ ৮০ হাজার অভিবাসীকে বৈধকরণ করা হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৪ লাখ বৈধকরণের আবেদন বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
পর্তুগালকে সমৃদ্ধিশীল করে তুলতে আরো বেশি লোকবলের প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মন্টিনিগ্রো। কিন্তু সেজন্য দেশটির অতিরিক্ত উদার অভিবাসন নীতির বিরোধীতা করেছেন তিনি।
Source: https://www.dw.com/en/portugals-new-government-tightens-immigration-rules/a-69258902