ইসরায়েলি যুদ্ধ হেলিকপ্টার থেকে হামলার ঘটনায় হামাসের হাতে বন্দী এক ইসরায়েলি মহিলা নিহত হয়েছেন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য প্রকাশ করে আইডিএফ। নিহত ইসরায়েলি মহিলার নাম ইফ্রাত কাটজ যাকে ৭ অক্টোবর হামাস বন্দী করে নিয়ে যায়।
শুক্রবার সেনাবাহিনীর তদন্তে বলা হয়েছে, তারা নিশ্চিত ছিল গাড়িতে অপহরণকারীদের পাশাপাশি একজন বন্দীও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বিমানটি যখন অপহরণকারিদের গাড়িতে গুলি চালায় তখন ইফ্রাত কাটজ এবং গাড়িতে থাকা বেশিরভাগ যোদ্ধা নিহত হয়।
ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর প্রধান টোমার বার বিবৃতিতে এই ঘটনাকে “মর্মান্তিক ও দুর্ভাগ্যজনক” বলেছেন। তিনি বলেন, “বিমান বাহিনীর কমান্ডার হেলিকপ্টার ক্রুদের অপারেশনে কোনো ত্রুটি খুঁজে পায়নি। যোদ্ধারা যুদ্ধের জটিল বাস্তবতায় আদেশ মেনে কাজ করেছিল।”
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে নজরদারি ব্যবস্থার জন্য এই ভুল হয়েছে। যার কারণে গাড়িতে থাকা অপহরণকারীদের থেকে জিম্মিদের পার্থক্য করা যায়নি।
ইসরায়েল বলছে ৭ অক্টোবরের হামলার সময় প্রায় ১২০০ জন নিহত হয়েছিল এবং ২০০ জনেরও বেশি বন্দী হয়েছিল। বন্দীদের মধ্যে কয়েক ডজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। গাজায় এখনও প্রায় ১৩০ বন্দী রয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে আইডিএফের পক্ষ থেকে।
গত বছরের ডিসেম্বরেও ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ‘ভুলবশত’ গাজায় বন্দী তিন ইসরাইলি নিহত হয়।