সম্প্রতি, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক আদালত পর্যন্ত যেতে হয়েছে ইসরায়েলকে। সেখানেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। যেকোনো সময় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে – এমন আতঙ্কে দিন পার করছেন তিনি।
রিপোর্ট বলছে গণহত্যার অভিযোগে আটক হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং ইসরায়েলি সেনাপ্রধান হারজি হালেভি। ইসরায়েল টুডের মতে, এই ধরনের গ্রেফতারি পরোয়ানা ইসরায়েলের জন্যে একটি ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ে আসবে এবং ইসরায়েলকে একটি “যুদ্ধাপরাধী” রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা করবে।
এর আগে, গত বছর ২৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদলত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা। যার মূল বিষয় ছিল, গাজা যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েলকে আদেশ প্রদান করা।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গাজা যুদ্ধে ইসরায়েল ১৯৪৮ সালে প্রণীত গণহত্যাবিরোধী সনদ লঙ্ঘন করছে। উল্লেখ্য, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অভিজ্ঞতা ও হলোকাস্টে গণহত্যার বিভীষিকা থেকে এই সনদটি প্রণয়ন করা হয়।
দক্ষিণ অফ্রিকার এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ জানুয়ারি জাতিসংঘের ন্যায়বিচার আদালত একটি অন্তর্বর্তী আদেশ প্রদান করে। আদেশ প্রদানের সময় আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের সভাপতি জোয়ান ডানেহিউ বলেছেন, ‘গাজায় নজিরবিহীন মানবিক সংকট দ্রুত অবনতির ঝুঁকির মধ্যে আছে’।
Source: https://www.middleeastmonitor.com/20240429-israels-netanyahu-concerned-about-possible-icc-arrest-warrant/