তালেবান সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর “বেপরোয়া” বিমান হামলায় আটজন নিহত হয়েছেন, যাদের সবাই নারী ও শিশু। ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্তে উত্তেজনা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। পাকিস্তানের দাবি, প্রতিবেশী দেশ থেকে তাদের ভূখণ্ডে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে।
তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় ভোর ৩টার দিকে পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন খোস্ত ও পাকতিকা প্রদেশে “বেসামরিক বাড়িঘর” লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করে পাকিস্তানি বিমান। তালেবান সরকার এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এই হামলা আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের উপর আক্রমণ বলে অভিহিত করেছে দেশটি। তিনি আরো যোগ করেন, “এ ধরনের ঘটনার ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে যা পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাকিস্তানের সীমান্ত অঞ্চলের একজন স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা এএফপি-কে জানান, আফগান বাহিনী পাকিস্তান ভূখণ্ড লক্ষ্য করে আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় তাদের সেনাবাহিনী এই হামলা চালিয়েছে। এছাড়াও পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত থাকায় কুররাম ও উত্তর ওয়াজিরিস্তানের কিছু এলাকা খালি করার জন্য মসজিদে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডের ভেতরে একটি হামলায় দেশটির সাত সেনা সদস্য নিহত হওয়ার পরে হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন দেশটির রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারি।
আফগান সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানের তালেবান গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এর মতো জঙ্গিগোষ্ঠীর ঘাঁটি হিসেবে কাজ করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, তালেবানের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকেই সাবেক উপজাতীয় এলাকাগুলোর জঙ্গিরা আরও বেশি উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে। যদিও তালেবান সরকার পাকিস্তানি জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার কথা সবসময় অস্বীকার করে আসছে।
Source: ndtv.com