পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের আফগান সীমান্তের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় সাতজন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনী এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শনিবার দেশটির খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সীমান্তবর্তী জেলা উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়েছে। হামলায় গাড়ি বোমা এবং আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের ব্যবহার করা হয়। সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “হামলার জবাবে সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। এই সংঘর্ষে ছয় হামলাকারী নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে কয়েকজন আত্মঘাতী ভেস্ট পড়েছিল।”
সামরিক বাহিনীর মিডিয়া শাখা হামলার জন্য নির্দিষ্টভাবে কোন গোষ্ঠীকে দায়ী না করলেও, নতুন গঠিত সংগঠন জয়শ-ই-ফুরসান-ই-মুহাম্মদ দায় স্বীকার করেছে।
আইএসপিআর আরো জানায়, “সন্ত্রাসীরা একটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি সেনাচৌকিতে ঢুকিয়ে দেয় এবং পরবর্তীতে একাধিক আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায়। এর ফলে ভবনের একটি অংশ ধসে পড়ে এবং পাঁচ সেনাসদস্য নিহত হন।” এই ঘটনায় আরও দুই সেনাসদস্য পরবর্তীতে হামলাকারীদের সাথে লড়াইয়ে নিহত হন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন যে, “হামলার সময় বিশাল বিস্ফোরণের শব্দে এলাকা কেঁপে ওঠে; অনেক বাড়ির দরজা জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং “শহীদ” সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে সেনাবাহিনী দাবি করেছিল উত্তর ওয়াজিরিস্তান অঞ্চল থেকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরেও মাঝেমধ্যে এ ধরনের হামলার ঘটনা এই আশঙ্কা জোরদার করছে যে, পাকিস্তানি তালেবানরা ওই এলাকায় পুনরায় সংগঠিত হচ্ছে। ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর প্রত্যাহারের পর আফগান তালেবানদের সাথে মিত্র পাকিস্তানি তালেবানদের তৎপরতাও বেড়েছে এই এলাকায়।