হাঙ্গেরি সময় বৃহস্পতিবার সকালে, প্রেসিডেন্ট সি জিং পিং বুদাপেস্টের সান্দর প্রাসাদে হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট তামাস সুয়ুকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট হাঙ্গেরি সফর এবং প্রেসিডেন্ট তামাসের সঙ্গে পরিচিত হয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি তার সদয় আমন্ত্রণ এবং সুচিন্তিত ব্যবস্থার জন্য ধন্যবাদ জানান। প্রেসিডেন্ট তামাস একজন অভিজ্ঞ রাষ্ট্রনায়ক এবং হাঙ্গেরির আইন বিশেষজ্ঞ উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট সি জিং পিং প্রত্যাশা করেন, চীন-হাঙ্গেরি ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্ব দীর্ঘস্থায়ী হবে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে তার ইতিবাচক অবদানের জন্য প্রেসিডেন্ট তামাসের প্রশংসা করেন তিনি।
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভালো ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গঠন করা, পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আদান-প্রদান ও যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং যৌথভাবে চীন-হাঙ্গেরি সম্পর্কের উচ্চ-স্তরের উন্নয়নের কথা ব্যক্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট সি জিং পিং।
দু’পক্ষ ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত চীন ও হাঙ্গেরির মধ্যে ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বের কথা স্মরণ করে এবং বছরের পর বছর ধরে বাস্তব ও বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতার ভালো ফলাফল নিয়ে তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। চীন এবং হাঙ্গেরি একে অপরকে সহযোগিতার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত অংশীদার হিসাবে দেখে, সর্বদা একে অপরকে সম্মান করে এবং সম-আচরণ করে ও পারস্পরিকভাবে উপকারী বাস্তবসম্মত সহযোগিতার একটি ভাল উদাহরণ স্থাপন করেছে।
উভয়পক্ষ উচ্চ পর্যায়ের বিনিময় বজায় রাখতে, পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা জোরদার করতে এবং পারস্পরিক সুবিধার জন্য সহযোগিতা গভীর করতে সম্মত হয়েছে, যাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উচ্চ স্তরে রাখা যায় এবং দুই জনগণের জন্য আরও সুবিধা নিশ্চিত করা যায়।
ফ্রান্স ও সার্বিয়া সফর শেষে হাঙ্গেরিতে পৌঁছান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং। প্যারিস সফররের সময় ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং ইইউ কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডের লিয়েনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। তখন চীনা প্রেসিডেন্টকে ইউরোপের সঙ্গে আরও ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্য নিশ্চিত করতে এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রাশিয়ার চাপ দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
বুদাপেস্টে আলোচনার সময়ও ইউক্রেন ইস্যু প্রাধান্য পাবে বলে জানিয়েছিলেন পরররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তো। সপ্তাহের শুরুতে একটি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছিলেন তিনি।