ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ২০২৫ সালের ২৭ জুলাই প্রযন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তাদের অভিযোগ ইরান পশ্চিম এশিয়া ও লোহিত সাগর অঞ্চলের সশস্ত্র সংগঠন গুলোকে অস্ত্র সহায়তা দিয়ে আসছে। ইরানের উপর চলমান নিষেধাজ্ঞা প্রতি বছর পুনরায় বিবেচনা করা হবে।
বর্তমানে ইরানের বারো জন ব্যক্তি ও নয়টি প্রতিষ্ঠানের উপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ফ্রীজ করে রাখার পাশাপাশি তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো রাষ্ট্রে ভ্রমণও করতে পারবে না। উক্ত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও এক বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ইরান ইউরোপীয় ইউনিয়নের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে রাশিয়ার দাবি ইউক্রেনকে দেয়া পশ্চিমা অস্ত্র যুদ্ধিকে দীর্ঘায়িত করছে।
ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের দেয়া তথ্য মতে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হবার পর থেকে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ৫১.৪ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে।
গত ১৪ই মে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞার পরিধি বৃদ্ধি করে। উক্ত নিষেধাজ্ঞায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতাকে টার্গেট করা হয়। ইসরাইলের উপর প্রথমবারের মত ইরানের সরাসরি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরপরই ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
এসময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশ থেকে ইরানে যে কোনো ধরনের সামরিক কাঁচামাল রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
পশ্চিম এশিয়া ও লোহিত সাগর অঞ্চলের সশস্ত্র সংগঠন গুলোকে অস্ত্র সহায়তা দেয়ার অভিযোগে চলতি বছরের ৩১শে মে ইরানের ছয় ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
সোর্স: https://www.presstv.ir/Detail/2024/07/15/729375/Iran-Council-European-Union-sanctions