শুক্রবার গভীর রাতে ইকুয়েডরের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা রাজধানী কুইটোতে মেক্সিকোর দূতাবাসে অভিযান চালানোর পর ইকুয়েডরের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিত করে দেশটি। দূতাবাস থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইকুয়েডরের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জর্জ গ্লাসকে। গ্লাস ডিসেম্বর থেকে মেক্সিকান দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে অবস্থান করছিলেন।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইকুয়েডরের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই অভিযানকে তিনি “আন্তর্জাতিক আইন ও মেক্সিকোর সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন” বলে অভিহিত করেছেন।
ওব্রাডর বলেন, “গ্লাস একজন নিপীড়িত শরণার্থী এবং তিনি যে হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছেন তার কারণে মেক্সিকোর কাছে আশ্রয় চেয়েছিলেন।”
ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্সি একটি বিবৃতিতে গ্লাসের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, “কোনো অপরাধীকে রাজনৈতিকভাবে নির্যাতিত ব্যক্তি হিসাবে বিবেচনা করা যায় না। দুর্নীতির জন্য দুইবার দোষী সাব্যস্ত হয়েছে গ্লাস। তাই উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।”
২০১৭ সালে ব্রাজিলিয়ান নির্মাণ কোম্পানি ওডেব্রেচট থেকে সরকারি চুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ গ্রহণের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন গ্লাস। তখন তাকে ছয় বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল। ২০২২ সালের নভেম্বরে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে ২০১৫ সালের বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পরে পুনর্গঠনের প্রচেষ্টার তহবিল দূর্নীতি অভিযোগে আরেকটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় গ্লাসের বিরুদ্ধে।
Source: https://www.dw.com/en/mexico-cuts-ties-with-ecuador-after-embassy-raid/a-68755686