গত বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূলে ১৫০জন রোহিঙ্গা শরণার্থী বোঝাই একটা নৌকা ডুবে যায়। এখন পর্যন্ত ৪২জন পুরুষ, ১৮জন মহিলা ও ৯জন শিশুকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে উদ্ধারকারী দল। ধারণা করে হচ্ছে, নৌকাডুবির সময়েই প্রায় পঞ্চাশজনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধারকৃত ৬৯জন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আচেহ প্রদেশের একটি আশ্রকেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
গত বুধবার আচেহ প্রদেশের কুয়ালা বুবন সৈকতের প্রায় ১২ মাইল পশ্চিমে এই দূর্ঘটনাটি ঘটে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রতিনিধি ফয়সাল রহমান জানিয়েছেন, ৬জন শরণার্থীকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে গিয়েছেন। যাদের মধ্যে ৪জন মহিলা ও ২জন পুরুষ। গত বুধবার নৌকাডুবির স্থানের পাশে থেকেই স্থানীয় জেলেরা তাদের উদ্ধার করেন। আল জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ফয়সাল জানান, উদ্ধারকৃত শরণার্থীদের মতে প্রায় ৫০জন মানুষ দূর্ঘটনার সময়েই নৌকার তলদেশে আটকে গিয়ে মারা গেছে। যদিও সঠিক মৃতের সংখ্যা এখনো জানা যায়নি।” ধারণা করা হচ্ছে, যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে মহিলা ও শিশুদের সংখ্যাই বেশি। সাতার না জানার কারণে সমুদ্রে স্রোতে ভেসে গিয়েছেন তারা।
স্থানীয় জেলেদের তোলা একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, উল্টে যাওয়া নৌকার উপরের দিকে বেশ কয়েকজন শরণার্থী হাত নেড়ে জেলেদের কাছে সাহায্য চাইছেন। তাদের সবাই পুরুষ। গত বুধবার থেকেই ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় উদ্ধার সংস্থা সেখানে একটি ‘সার্চ এন্ড রেসকিউ’ অপারেশন শুরু করেছে।
Source: www.aljazeera.com