আগামী ২৮জুন অনুষ্ঠিতব্য ইরানের ১৪তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য অনুমোদন পেয়েছেন ছয় প্রার্থী। রবিবার এক বার্তায় এ তথ্য প্রকাশ করেন ইরান নির্বাচনী সদরদপ্তরের মুখপাত্র মোহসেন ইসলামি। প্রার্থীদের বেশিরভাগই রক্ষণশীল বলে পরিচিত রাজনৈতিক অঙ্গনে।
ইরানের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি গত মাসে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন।
রবিবার ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের নির্বাচনের তত্ত্বাবধানকারী গার্ডিয়ান কাউন্সিল ৮০ জন নিবন্ধিত প্রার্থীর মধ্যে থেকে এই ছয় প্রার্থী বাছাই করেছে। ছয় প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন রক্ষণশীল এবং শুধুমাত্র একজন সংস্কারপন্থি শিবির থেকে অনুমোদিত হয়েছেন।”
প্রার্থীতা থেকে বাদ পড়েছেন ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। গত নির্বাচনেও তার প্রার্থীতার অনুমোদন দেয়নি গার্ডিয়ান কাউন্সিল। অন্যান্যদের মধ্যে মধ্যপন্থি প্রাক্তন স্পিকার আলী লারিজানি এবং ইরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রাক্তন কমান্ডার ওহিদ হাঘানিয়ানকেও প্রার্থীতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
চারজন নারী প্রার্থী আবেদন করলেও অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে তাদের প্রার্থীতা। ১৯৭৯ সালের ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকে প্রতিটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নারীদের প্রার্থীতা অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
এবারের নির্বাচনে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন বর্তমান সংসদের স্পিকার ও তেহরানের প্রাক্তন মেয়র মোহাম্মদ বাকের কালিবাফ। দেশটির আধা-সামরিক বিপ্লবী গার্ডের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে কালিবাফের। যদিও ২০০৫ এবং ২০১৩ সালে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়লাভে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি।
অন্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন প্রধান পরমাণু আলোচক সাঈদ জলিলি, উগ্র রক্ষণশীল ও শহীদ ও যোদ্ধা বিষয়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আমির-হোসেইন গাজিজাদেহ হাশেমি, ইসলামিক পণ্ডিত এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বিচার মন্ত্রী মোস্তাফা পুরমোহাম্মাদী এবং তেহরানের বর্তমান মেয়র আলিরেজা জাকানি।
সংস্কারপন্থি প্রার্থী হিসেবে অনুমোদন পেয়েছেন তাবরিজের সাংসদ মাসুদ পেজেশকিয়ান।
এখনো পর্যন্ত নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেননি কোনো প্রার্থী। তবে ইরানের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি জানিয়েছেন সবাই।
Source: https://www.dw.com/en/iran-six-candidates-approved-for-presidential-election/a-69315164