জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজা যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে ভোট প্রদানে বিরত থাকার পর এবার হোয়াইট হাউজ ইসরায়েলের জন্য প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলারের যুদ্ধবিমান ও অস্ত্রসহায়তার অনুমোদন দিয়েছে। বার্তাসংস্থা ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, পেন্টাগন এবং ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট কর্মকর্তাদের মতে নতুন অস্ত্র প্যাকেজে ১৮০০টি ২হাজার পাউন্ডের বোমা এবং ৫০০টি ৫০০পাউন্ডের বোমাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২ হাজার পাউন্ড ওজনের বোমা, যেটি প্রায় ১০০০ফুট (৩০০ মিটার) দূরত্ব পর্যন্ত মানুষের ক্ষতি করতে পারে। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের পূর্ববর্তী হামলাগুলোতেও ব্যবহার করা হয়েছে এই বোমা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একদিকে পাঁচ মাস ধরে চলমান ইসরায়েল হামাস যুদ্ধবিরতির জন্য জোর দিচ্ছে, যেইখানে সোমবার গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দীদের মুক্তির দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবে ভোট প্রদান থেকে বিরত ছিল দেশটি। অন্যদিকে তাদের মিত্র ইসরায়েলকেও নিয়মিত বিরতিতে অস্ত্র সরবরাহ প্রদান করে চলেছে। দীর্ঘদিনের মিত্র ইসরায়লকে প্রতিবছর প্রায় ৪বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা প্রদান করে যুক্তরাষ্ট্র।
হামাদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য স্টাডিজের সহযোগী অধ্যাপক মার্ক ওয়েন জোনস আল জাজিরাকে বলেছেন, “ওয়াশিংটন যখন প্রকাশ্যে ইসরায়েলকে গাজায় তার “যুদ্ধ সমাপ্ত” করার জন্য চাপ দিচ্ছে, তখন তার নীতিগত পদক্ষেপগুলি সম্পূর্ণ ভিন্ন সংকেত পাঠাচ্ছে।”
শনিবার ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করে, “নেতানিয়াহুকে বেসামরিকদের হত্যা থেকে বিরত রাখার আহ্ববান জানানো এবং একইসাথে তাকে অস্ত্র সরবরাহ করা একটি নীতিগত এবং নৈতিক দ্বন্দ্ব।”
মার্কিন সিনেটররা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে গাজার জন্য মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত না করা পর্যন্ত ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স বাইডেনের এই পদক্ষেপকে “জঘন্য” বলে নিন্দা করেছেন। এক্স-এ দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন “যুক্তরাষ্ট্র নেতানিয়াহুকে একদিন বেসামরিক মানুষের উপর বোমাবর্ষণ বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করে, পরের দিন তাকে আরও হাজার হাজার পাউন্ড বোমা পাঠাতে পারে না। আমাদের অবশ্যই এই জটিলতার অবসান ঘটাতে হবে। ইসরায়েলের কাছে আর কোনো বোমা দেয়া যাবে না।”