হামাস যেনো কোনোভাবেই ইসরাইলি সেনাদের বন্দী করে গাজায় পৌঁছাতে না পারে তাই ইসরাইলি সেনাবাহিনী এক বিতর্কিত পদ্ধতি হ্যান্নিবাল ডিরেক্টিভ অবলম্বন করেছিল। ইসরাইলি পত্রিকা হারেটজ (Haaretz) এর এক অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে ভয়াবহ এসব তথ্য।
হারেটজ এর রির্পোটে বলা হয় যে সাত অক্টোবরে হামাস যখন অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইসরাইলি সেনা সদস্য ও সাধারণ নাগরিকদের বন্দী করে গাজায় নিয়ে যাচ্ছিল, তখন ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বিতর্কিত হান্নিবাল ডিরেক্টিভ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়। সেনাদের দেয়া এক নির্দেশে তখন বলা হয় “not a single vehicle can return to Gaza”. অর্থাৎ হামাসের একটি গাড়িও যেনো কোনোভাবেই গাজায় পৌঁছাতে না পারে।
রিপোর্টে আরও বলা হয় যে এসময় ইসরাইল জানত না যে কি পরিমাণ মানুষ হামাসের হাতে বন্দী হতে পারে। কিন্তু তারা এটা নিশ্চিত জানত যে বন্দীদের মধ্যে অসংখ্য মানুষ ইসরাইলের সাধারণ নাগরিক। তারা কোনো সামরিক বাহিনীর সদস্য নয়। কিন্তু সামরিক বাহিনীর সদস্য ছাড়া অন্যদের উপর হান্নিবাল ডিরেক্টিভ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় না। তবুও ইসরাইল বিতর্কিত এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
মূলত হান্নিবাল ডিরেক্টিভ হচ্ছে এমন একটি সামরিক কৌশল যেখানে ইসরাইলি বাহিনী তাদের সর্বোচ্চ শক্তি ব্যবহার করে যাতে কোনোভাবেই শত্রুরা কোনো সেনা সদস্যকে বন্দী করে সাথে নিয়ে যেতে না পারে। এমনকি এসময় অপহরণ ঠেকাতে তারা নিজেদের সেনাদের উপর গুলি চালাতেও দ্বিধা করে না। তাদের লক্ষ্য থাকে সেনারা মারা গেলে যাক। কিন্তু শত্রুরা যেনো কোনোভাবেই তাদেরকে বন্দী করতে না পারে।
সাত অক্টোবরে অন্তত তিনটি সামরিক ঘাঁটিতে হান্নিবাল ডিরেক্টিভ ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু হান্নিবাল ডিরেক্টিভ পদ্ধতি অবলম্বন করেও হামাসের হাত থেকে ইসরাইল তাদের সেনাদের বাঁচাতে ব্যর্থ হয়। উক্ত তিন ঘাঁটি থেকে অন্তত সাত ইসরাইলি সেনা সহ আরও ৩৮ সেনা সদস্য সেদিন হামাসের হাতে বন্দী হয়।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী প্রায় দুই দশক ধরে হান্নিবাল ডিরেক্টিভ ব্যবহার করে আসছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালে গাজা ইসরাইল যুদ্ধে এই কৌশল ব্যবহার করে তারা। শুরু থেকেই ইসরাইলের ভেতরে ও বাইরে এই হান্নিবাল ডিরেক্টিভ পদ্ধতি ব্যাপক সমালোচিত হয়ে আসছে।
Source:1https://www.aljazeera.com/news/2024/7/7/israeli-army-used-hannibal-directive-during-october-7-hamas-attack-report