রমজান মাসের দীর্ঘ উপবাসের পর মুসলিম বিশ্ব পালন করে তাদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর। শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার সঙ্গে সঙ্গেই নিশ্চিত হয় ঈদের আগমন। ইসলামিক বা হিজরি বর্ষপঞ্জির দশম মাস শাওয়ালের প্রথম দিনটি ঈদুল ফিতর হিসেবে পালিত হয়। যেহেতু হিজরি বছর চন্দ্র মাসের উপর ভিত্তি করে চলে, তাই চাঁদের হিসাব অনুযায়ী মাস হয় ২৯ কিংবা ৩০ দিনের। ফলে ঈদের সঠিক তারিখ নিশ্চিত করতে মুসলমানদেরকে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে টেলিভিশন, রেডিও ও মসজিদগুলোতে ঈদ ঘোষণা করা হয়। এরপরই শুরু হয়ে যায় আনন্দ উৎসব। মুসলিম-প্রধান দেশগুলোতে সাধারণত তিন দিন সরকারি ছুটি থাকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে। তবে দেশ ভেদে ছুটির দিনগুলোর সংখ্যায় তারতম্য হয়।
ভোরের কিছু পরেই বিশেষ ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে মুসলমানরা দিনটির উদযাপন শুরু করেন। নামাজের পর খুতবা বা সংক্ষিপ্ত ধর্মীয় বক্তব্য প্রদান করা হয়। নামাজে যাওয়ার পথে মুসলমানরা ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনি দিয়ে তাকবির পাঠ করেন। নামাজের আগে খেজুরের মতো মিষ্টি খাবার খাওয়ার রীতি রয়েছে।
ঈদের দিনে মুসলমানরা আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে বেড়াতে যান এবং মিষ্টিমুখ করেন। দেশ ভেদে ঈদের আগে বা ঈদের দিনে বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি ও মনোরম খাবার প্রস্তুত করা হয়। নতুন জামাকাপড় পরে বাচ্চারা বিশেষভাবে আনন্দ করে ঈদের এই দিনে। তারা সালামি ও উপহার পেয়ে থাকে। অনেক এলাকায় মেয়েরা ও নারীরা ঈদের আগের রাতে মেহেদি উৎসবের আয়োজন করেন এবং হাতে মেহেদি দেন।
কিছু কিছু দেশে ঈদের পরপরই কবর জিয়ারতের রীতিও রয়েছে। এক মাসব্যাপী রোজা রাখার পর ঈদের উৎসবের আনন্দ মুসলিম-প্রধান দেশগুলোতে বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবেই পালিত হয়। শহরের রাস্তাঘাট সাজানো হয় আলোকসজ্জায়, নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় ঈদ-উল-ফিতর।
https://www.aljazeera.com/news/2024/4/7/when-is-eid-al-fitr-2024-and-how-is-it-celebrated