উত্তর গাজার সুজাইয়া এলাকায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরাইলি বাহিনীর সাথে ভয়াবহ যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। ইসরাইলি বাহিনীর সেখানে প্রবেশের পর একদিনই প্রায় দশ হাজারেরও বেশী ফিলিস্তিনি সেখান থেকে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।
ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেডের এক বিবৃতিতে বলা হয় তারা একটি বাড়ি ধ্বংস করেছে সেখানে চারজন ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে এবং আরো পাঁচজন আহত হয়েছে। এ হামলায় তারা ইসরাইলি যুদ্ধবিমান থেকে ছোরা অবিস্ফোরিত এফ-16 মিসাইল ব্যবহার করেছে।
অপরদিকে হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছে তাদের সেনারা এন্টি ট্যাংক রকেট দিয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনীতে হতাহাতের ঘটনা ঘটিয়েছে এবং এখনও তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি ইসরাইলি সেনাবাহিনী উত্তর গাজায় ভারী অস্ত্র নিয়ে আবারও স্থল অভিযান শুরু করেছে যেখানে তারা গত জানুয়ারিতে উত্তর গাজা থেকে হামাসকে নির্মূলের কথা ঘোষণা করেছিল।
এ অঞ্চলের পুনরায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার কারণে অসহায় ফিলিস্তিনিরা তীব্র গরম আর ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য হচ্ছে। জাতিসংঘের দূত স্টিফেন ডুজারিক এবিষয়ে বলেন গত বৃহস্পতিবার থেকে ইসরাইল এ পর্যন্ত ৬০ হাজার ফিলিস্তিনিকে স্থানচ্যুত করেছে।
তবে এসব বিষয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তারা শুধু জানিয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় গাজায় তাদের এক সৈন্য নিহত হয়েছে এবং আরো ৯ জন আহত হয়েছে। এ সময় তারা বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করে।
স্থল অভিযানের পাশাপাশি ইসরাইলি বাহিনী নিয়মিত বিমান হামলাও চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন চলমান সংঘাত এখন যুদ্ধের সবচেয়ে কঠিন একটি পর্যায়।
সাত অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৬৬৮ ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে। যাদের অন্তত ৩০০ জন স্থল অভিযান শুরুর পরে নিহত হয়েছে। এবং আরো অন্তত ৩৯৫৩ জন সেনা আহত হয়েছে। আর ইজরায়েল দাবি করেছে তারা এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।