গাজায় একের পর এক গণকবর খুঁজে পাচ্ছে সেখানকার প্রশাসন। এরমধ্যে খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে আবিষ্কৃত গণকবর থেকে মৃতদেহ উদ্ধারে জড়িত প্যারামেডিক এবং উদ্ধারকারী দল দাবি করছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মৃতদেহ থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সরিয়ে নিচ্ছে। বেশ কিছু মানুষকে জীবন্ত কবরও দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তারা।
খান ইউনিস থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পর তিনটি গণকবর থেকে ১৬৫টি অজ্ঞাত মৃতদেহসহ অন্তত ৩৯২টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন ভিডিও ও ছবিতে নিহতদের উপর জঘণ্যতম নির্যাতন ও মৃতদেহ বিকৃতির প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ফিলিস্তিনি সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, মৃতদেহগুলিতে যেধরনের অস্ত্রোপচার ও সেলাইয়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে সেগুলো গাজায় করার অস্ত্রোপচারের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ।
ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটর ফিলিস্তিনি মৃতদেহ থেকে সম্ভাব্য অঙ্গ চুরির বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে। এনজিওটি দাবি করেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দক্ষিণে অন্যান্য হাসপাতাল থেকেও কয়েক ডজন মৃতদেহ সরিয়ে নিয়েছে।
নাসের হাসপাতালের মৃতদেহগুলোর মধ্যে অস্ত্রোপচারের গাউনে একটি অল্প বয়স্ক মেয়ের বিকৃত দেহ পাওয়া গিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে জীবিত কবর দেওয়া হয়েছিল। একই রকম পোশাকে আরো একটি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে সেখানে।
গাজা ভিত্তিক সাংবাদিক আকরাম আল সাতাররি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ডেমোক্রেসি নাওকে বলেছেন, “কিছু লোকের হাত-পা বাঁধা ছিল। কিছু লোকের হাতে ক্যানুলা ছিল। যখন তাদের কবর থেকে বের করা হয়েছিল, তখন বুঝা যাচ্ছিল তাদের জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছিল।”