শনিবার মস্কোতে কনসার্টে গুলিবর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত চার বন্দুকধারীকে আটক করেছে রাশিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হামলার পেছনে যারা আছে তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ইসলামিক স্টেট (আইএস) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। যদিও রাশিয়ার দাবি ইউ হামলার পেছনে ইউক্রেনের হাত রয়েছে। কিন্তু ইউক্রেন জানিয়েছে, রাশিয়ার এই হামলার ঘটনায় কিয়েভের কোনো যোগসূত্র নেই।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় তদন্ত সংস্থা এখনো পর্যন্ত ১৩৩জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। কিন্তু দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানলের সম্পাদক মার্গারিটা ১৪৩জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন। যদিও এখনো পর্যন্ত এই দাবির কোনো সুনিশ্চিত তথ্যসূত্র পাওয়া যায়নি।
টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট পুতিন জানান চার বন্দুকধারীসহ এখনো পর্যন্ত হামলার সাথে জড়িতসন্দেহে ১১জনকে আটক করা হয়েছে। পুতিন বলেন, “হামলাকারীরা ইউক্রেনের দিকে পালানোর পরিকল্পনা করেছিল। প্রাথমিক তথ্যে ইউক্রেন সীমান্তে তাদেরকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার জন্য পূর্বপ্রস্তুতি ছিল বলে জানা গেছে।”
দেশটির নিরাপত্তা সংস্থা এফএসবি জানিয়েছে আটকের পূর্বে এক বন্দুকধারী ইউক্রেনে যোগাযোগ করে জানিয়েছে তাদেরকে মস্কোতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
অপরিদকে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার মুখপাত্র আন্দ্রি ইউসভ রয়টার্সকে জানান, “রাশিয়ার এই হামলার সাথে ইউক্রেনের কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। ইউক্রেন নিজেকে রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে রক্ষা করতে ব্যস্ত। আমরা আমাদের নিজ ভূখন্ডে দখলদারদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। অন্যদেশে গিয়ে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই।”
রাশিয়ার সংসদ সদস্য আন্দ্রে কারতাপোলভ বলেছেন, যদি এই হামলায় সত্যি ইউক্রেনের সম্পর্ক থাকে, তাহলে রাশিয়ার উচিত যুদ্ধক্ষেত্রে এর একটি উপযুক্ত, পরিষ্কার ও নিঁখুত জবাব দেয়া।
Source: https://www.reuters.com/