ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) শুক্রবার আদিয়ালা জেলে কারারুদ্ধ পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবির নিরাপত্তা এবং সুস্থতা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে।
প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক বুশরা বিবির দায়ের করা একটি রিট আবেদনের জবাবে এই লিখিত রায় জারি করেন। আদালতের কাছে কারাগারে ইমরান খান ও বুশরা বিবির মৌলিক সুবিধা ও অধিকার সুরক্ষার দাবি করেছিলেন বুশরা।
রায়ে আদালত জানান, সরকারকে আদালতের নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ও তার স্ত্রীর জন্য সমস্ত প্রাপ্য সুবিধা প্রদান করতে হবে।
ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর বেশ কিছু আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে ইমরান খানকে, যার মধ্যে দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ রয়েছে। ২০২৩সালের আগস্টে তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকেই কারাগারে আছেন ইমরান।
বেশ কিছু মামলায় স্বস্তিতে থাকলেও ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড রেফারেন্স এবং উচ্চ প্রোফাইল সাইফার কেস, ইদ্দত মামলায় দণ্ডের কারণে কারাবাসে রয়েছেন ইমরান।
আইএইচসি-র রায়ে কারাবাসের উদ্দেশ্য হিসেবে বন্দির পুনর্গঠনকে তুলে ধরেছে এবং শারীরিক বা মানসিক চাপের অধীনে না রাখার উপর জোর দিয়েছে। খালিদ হুসেন বনাম মানবাধিকার মন্ত্রণালয়ের মামলাটি উদ্ধৃত করে আদালত ফেডারেল সরকারকে সকল কারাগারে, বিশেষ করে আদিয়ালা জেলে এই নির্দেশিকা কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়াও সরকারের ব্যর্থতা সমালোচনা করে আদালত অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন রায়ে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইমরান খান এবং বুশরা বিবিকে ইদ্দতের সময় বিয়ে করার জন্য সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় পাকিস্তানের আদালত। বুশরার প্রাক্তন স্বামী খাওয়ার মানেকা কর্তৃক দায়ের করা একটি পিটিশনের পরে এই দণ্ডটি প্রদান করা হয়।