ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে নিজেদের নতুন দূতাবাসের উদ্বোধন করলো কাতার সরকার। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল ড. আহমদ হাসান আল-হামাদি ও কেআরজি’র পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিভাগের প্রধান সাফিন ডিজায়ি। কাতার দূতাবাসের ফলে ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চল উল্লেখযোগ্যভাবে উপকৃত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডারসেক্রেটারি ওমর বারযাঞ্জি।
কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার-কেআরজি’র সঙ্গে সাম্প্রতিক এক বৈঠকে বারযাঞ্জি দোহার সাথে ইরাকের, বিশেষ করে কুর্দিস্তান অঞ্চলের সাথে সম্পর্ক শক্তিশালী করার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। কুর্দিস্তানের একটি স্থানীয় সংবাদ অনুষ্ঠানে বারযাঞ্জি কেআরজি’র রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন। সাক্ষাৎকারে কাতার-ইরাক সম্পর্কের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অগ্রগতি বিশেষত কুর্দিস্তান অঞ্চলের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির কথা উল্লেখ করেন। ২০১৯সাল পর্যন্ত কাতারে ইরাকের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন বারযাঞ্জি।
এর আগে, কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি জেনারেল ড. আহমদ হাসান আল-হামাদি ও কেআরজি’র পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিভাগের প্রধান সাফিন ডিজায়ির মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিধিদলের সফরে কুর্দিস্তান অঞ্চলের প্রধান নেতাদের সাথে বৈঠকও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
২০২৩সালে কাতার প্রথমবারের মতো কুর্দিস্তানে নিজেদের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করে। তখন থেকেই অঞ্চলটিতে বিনিয়োগ ও বাস্তুচ্যুত ব্যক্তি এবং শরণার্থীদের সাহায্য প্রদান করে আসছে দেশটি। সেসময় কেআরজি প্রথমবারের কাতারে ৫০০ টন আপেলের চালান রপ্তানি করে, যা দুই দেশের ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য সম্পর্কের অংশ।
সফরে অঞ্চলটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী কুর্দি নেতা মাসউদ বারযানির সাথেও সাক্ষাৎ করে কাতারের প্রতিনিধি দল। এসময় উভয় পক্ষ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং পর্যটন, অর্থনীতি এবং উন্নয়নে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন।