কেনিয়ার রাষ্ট্রপতি উইলিয়াম রুটো হাইতিতে দীর্ঘ বিলম্বিত পুলিশ মোতায়েন সহ অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে এই সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তার।
এই সফরটি সহিংসতা এবং অস্থিতিশীলতা মোকাবেলায় হাইতিতে কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন পুলিশ বাহিনী পাঠানোর জাতিসংঘ-সমর্থিত উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গত বছর মিশনটিকে অনুমোদন দিয়েছিল, কিন্তু হাইতিতে সহিংসতার কারণে এটি বাস্তবায়নে বিলম্ব হয়েছে। কেনিয়ার কর্মকর্তারা ১০০০ কেনিয়ান পুলিশ অফিসার সহ প্রায় ২৫০০ সদস্য মোতায়েন করার কথা জানান।
ইউএস সাউদার্ন কমান্ড ইতিমধ্যে মিশনের প্রস্তুতির জন্য হাইতিতে কথাবার্তা চালাচ্ছে। তবে এখনও বেশ কিছু বাধা রয়ে গেছে, তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ সহায়তা চায় তারা সেই সাথে হাইতি-তে অস্ত্রসস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে চায় তারা।
কুইন্সি ইনস্টিটিউটের সমর আল-বুলুশি, কেনিয়ার পুলিশ বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইতিহাস তুলে ধরে এর সমালোচনা করেন। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো মিশনের সময় ক্ষমতার অপব্যবহার প্রতিরোধে সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়।
এই উদ্বেগ সত্ত্বেও, হাইতিতে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার কারণে অনেক স্থানীয় নেতা এবং নাগরিকদের আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপকে সমর্থন করতে দেখা যায়। সহিংসতা হাইতির অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে এবং একটি অন্তর্বর্তী রাষ্ট্রপতি পরিষদ এখন দেশটির নেতৃত্ব দিচ্ছে। সহিংসতার কারণে প্রায় ৩,৬২,০০০ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
হাইতির সাবেক মার্কিন বিশেষ দূত ড্যানিয়েল ফুট, হাইতির ন্যাশনাল পুলিশের দুর্বল অবস্থার কারণে নিরাপত্তা হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।