উত্তর গাজায় জাতিসংঘের ফিলিস্তিনকেন্দ্রিক সংস্থা রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস (ইউএনআরডব্লিউএ) এর কোনো ত্রাণ ঢুকতে দিবে না বলে জানিয়েছে ইসরায়েল। জাতিসংঘকে পাঠানো এক বার্তায় ইউএনআরডব্লিউএ-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। ৭অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় সংস্থাটির অনেক সদস্য জড়িত ছিল অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস আধানোম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’ এ লিখেছেন, “ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্ত “জরুরিভাবে প্রত্যাহার” করা উচিত। উত্তর গাজায় ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) সংগঠিত খাদ্য কনভয়গুলির প্রবেশ এখন সবচেয়ে জরুরি। ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্ত উত্তর অংশে অনাহারে থাকা ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাবে।” গাজায় খাদ্য সরবরাহ বন্ধ না করে এই সরবরাহকে কিভাবে আরো গতিশীল করা যায় সেই ব্যাপারে আরো বেশি প্রচেষ্টার আহ্ববান জানিয়েছেন টেডরস।
এদিকে আল-শিফা হাসপাতালের আশেপাশে বিমান হামলা ও সংঘর্ষের পরিমাণ বাড়িয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাস উভয়েই এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। ডক্টরস উইথ আউট বর্ডার নামে পরিচিত এমএসএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আল শিফা হাসপাতাল এলাকায় ভারী বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে হাসপাতালের অভ্যন্তরে আটকে থাকা স্বাস্থীকর্মী ও রোগীরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আছেন। ফুরিয়ে আসছে হাসপাতাল পরিচালনার রসদও। এছাড়াও ইসরায়েলি বাহিনী গণহারে হাসপাতালের কর্মীদের আটক করে নিয়ে যাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
হামাস দাবি করছে ইসরায়েল তাদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য হাসপাতালগুলোকে আক্রমণের লক্ষ্যে পরিণত করেছে। প্যালেস্তানিয়ান রেড ক্রিসেন্ট (পিআরসি) জানিয়েছে, খান ইউনিসের আল-আমাল হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে তাদের। ইসরায়েলি সেনারা ট্যাংক দিয়ে হাসপাতালটি ঘিরে রেখেছে। হাসপাতালের ভেতরে অবস্থান করা সকলকে হাসপাতাল ত্যাগে বাধ্য করছে সেনারা। এই অভিযানে পিআরসি সদস্য আমির আবু আয়শা’কে মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
আল-আমালে আক্রমণের পাশাপাশি খান ইউনিসের অন্য আরেকটি হাসপাতাল নাসের হাসপাতালের দিকে আক্রমণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এক বিবৃতিতে হামাস দাবি করেছে, হাসপাতালগুলোকে ধ্বংস করে গাজার মানুষদের বাস্তুচ্যুত করতে চাইছে ইসরায়েলি সেনারা। এমন অবস্থায় হামাস আরব ও ইসলামিক দেশগুলোকে আহ্ববান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের এই অবস্থায় তাদের সমর্থন জানানোর জন্য।
Source: https://www.aljazeera.com/