এই সপ্তাহে গাজা এবং এর আশেপাশের অঞ্চলে ইসরায়েলের কিছু পদক্ষেপকে যুদ্ধাপরাধ, এমনকি গণহত্যা বলছে বিশ্বের অনেক দেশ। যার মধ্যে রয়েছে, “ত্রাণকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা, হাসপাতালের ভেতরে ধ্বংসযজ্ঞে শতাধিক মানুষকে হত্যা করা, বিদেশের দূতাবাসে বিমান হামলা চালানো।”
এমনকি ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্ররাও এসব যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগের অভিযুক্ত হচ্ছে। তারপরেও তাদের অনেকেই ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠানো অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও গাজায় কর্মরত জাতিসংঘের প্রধান সংস্থার জন্য তহবিল আটকে রেখেছে দেশগুলি। ফলে প্রায় গাজা যুদ্ধের মধ্যে দুই মিলিয়ন মানুষ দুর্ভিক্ষের হুমকির মুখে রয়েছে।
এমনকি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার গণহত্যার অভিযোগের মামলাও এই অবস্থার কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি।
গত মাসের শেষের দিকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রান্সেস্কা আলবানিজ ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্রদের কাছে একটি সতর্কবার্তা পাঠিয়েছিলেন। যেখানে স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে ইসরাইল জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করছে এবং গাজায় গণহত্যা হচ্ছে।
ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অধ্যাপক মাইকেল বেকার আল জাজিরাকে বলেছেন, “জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো রাষ্ট্রগুলি কীভাবে ইসরায়েলকে সহায়তা দিচ্ছে তা পুনর্মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই তারাও আন্তর্জাতিক আইনের অন্যান্য লঙ্ঘন এবং গণহত্যার কাজে জড়িত বলে বিবেচিত হতে পারে।”