আরববিশ্ব ডেস্ক।।
ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তির আলোচনার মেয়াদ আরও একদিন বেড়েছে। আসন্ন রমজানে সময়মতো যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য দুই দিন ধরে কায়রোতে আলোচনা চলছিল। এর মধ্যেই ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি ও গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ রোধ করতে যুদ্ধবিরতির আলোচনা আরও একদিন হবে। এই একদিনে উভয়পক্ষই নিজেওর চুক্তিতে কিছু সামঞ্জস্য আনতে পারবে বলে ধারণা করছে আন্তর্জাতিক মহল।
মূলত গতকালকের বৈঠকে যুদ্ধবিরতি আলোচনা ভেস্তে গেছে। কারণ ইসরায়েল তাদের শর্ত মেনে নিচ্ছে না। কিন্তু আলোচনা চালিয়ে যেতে হামাসের প্রতিনিধিদল আরও একদিন কায়রোতে অবস্থান করবেন। তারা মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার ও মিসরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আবারও বৈঠকে বসবেন।
কায়রোতে দুই পক্ষের এই আলোচনা নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ইসরায়েল।
মূলত যুদ্ধবিরতি আটকে আছে হামাসের দুটি শর্তে। হামাসের প্রথম শর্ত হলো ইসরায়েল স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে তাদের কোনো জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে না। দ্বিতীয় শর্ত হলো, গাজার উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর গ্যারান্টি দিতে হবে।
এই দুটি শর্তকেই বিশেষজ্ঞরা হামাসের “যথাযথ সিদ্ধান্ত” বলে চিহ্নিত করেছেন। কেননা ত্রাণ সহায়তা গাজায় পৌছলে ইসরায়েলের “গণহত্যা” প্রকল্পে বাধা সৃষ্টি হবে। ফলে ফিলিস্তিনিরা দুর্ভিক্ষ এবং বোমা হামলা থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাবে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার, তথ্য দিতে ইসরায়েলের অস্বীকৃতি