আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে চলমান গাজা গণহত্যা মামলায় অংশীদার হতে সোমবার আবেদন জানিয়েছে ফিলিস্তিন। গত বছরের ডিসেম্বরে ‘ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে’ অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর আগে গত ৩১ মে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিজের ক্ষমতাকে স্বীকৃতি। ফলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলায় অংশীদার হতে আবেদন করার পথ প্রশস্ত হয় ফিলিস্তিনের।
যদি আদালত অনুরোধ মঞ্জুর করে, তাহলে চলমান মামলায় আইসিজের অস্থায়ী বিচারক প্যানেলে নিজেদের পছন্দের একজন বিচারককে নিয়োগ দিতে পারবে ফিলিস্তিন। বর্তমানে ১৬জন বিচারক মামলাটি পরিচালনা করছেন, যাদের মধ্যে ১৫জন আইসিজের নিয়মিত বিচারক ও ১জন ইসরায়েলের অস্থায়ি বিচারক।
আইসিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনের আবেদন নিয়ে লিখিত পর্যবেক্ষণ জমা দেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
২০১৪ সালে জাতিসংঘের স্থায়ী পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা পাওয়ার পর গণহত্যা কনভেনশনে স্বাক্ষর করে ফিলিস্তিন।
১৯৪৮সালের গণহত্যা কনভেনশনের ধারায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী হওয়ায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনার এখতিয়ার পেয়েছে আইসিজে।
১৯৪৫ সাল থেকে মাত্র কয়েকবার এমন ধরনের হস্তক্ষেপের অনুমতি দিয়েছে আইসিজে। এছারাও নিকারাগুয়া, কলম্বিয়া, লিবিয়া এবং মেক্সিকোসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যেই গাজা গণহত্যা মামলায় হস্তক্ষেপের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
গত ডিসেম্বর, দক্ষিণ আফ্রিকা গাজায় যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি গণহত্যা মামলা দায়ের করে। দক্ষিণ আফ্রিকা দাবি করে, ইসরায়েল গণহত্যা কনভেনশনের অধীনে তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা প্রতিরোধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দেয়ার নির্দেশ দেয়।