ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপের একটি অনুমোদনহীন স্বর্ণখনিতে ভূমিধসে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার উদ্ধারকর্মীরা নিখোঁজদের সন্ধানে মাটি ও ধ্বংসাবশেষ খনন কাজ শুরু করেছেন।
প্রাদেশিক অনুসন্ধান ও উদ্ধার অফিসের প্রধান হেরিয়ানতো জানান, রবিবার শতাধিক গ্রামবাসী স্বর্ণ সংগ্রহ করতে গিয়ে বোনে বোলাঙ্গোর দুর্গম পাহাড়ি গ্রামে মাটি ধসে চাপা পড়ে। উদ্ধারকারীরা মাটি ও ধ্বংসাবশেষ থেকে ২৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন, যার মধ্যে ১৮ জন আহত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১১টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে তিনজন নারী এবং চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে। আগের ১২ জনের মৃত্যুর তালিকা থেকে একজনকে বাদ দিয়ে এই সংখ্যা সংশোধন করা হয়েছে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র আব্দুল মুহারি জানান, শনিবার থেকে প্রবল বর্ষণের ফলে ভূমিধস শুরু হয় এবং একটি বাঁধ ভেঙে বন্যা হয়। আকস্মিক এ বন্যায় প্রায় ৩০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য উদ্ধারকারী দল ভারী সরঞ্জাম নিয়ে সম্মিলিতভাবে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে। তবে প্রবল বর্ষণ, অস্থিতিশীল মাটি এবং দুর্গম বনাঞ্চল উদ্ধার অভিযানকে ব্যাহত করছে বলে স্থানীয় উদ্ধার কর্মকর্তা আফিফউদ্দিন ইলাহুদে জানান। তিনি আরও জানান, নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে শিকারী কুকুরও মোতায়েন করা হয়েছে।
জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, উদ্ধারকর্মীরা কখনও কৃষি যন্ত্রপাতি এবং কখনও খালি হাতে কাদা মাখা মৃতদেহ বের করছেন এবং কালো ব্যাগে ভরে মৃতদেহগুলোকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন।
মৌসুমি বৃষ্টিপাতে ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যা ঘটে। দ্বীপপুঞ্জের দেশটিতে ১৭,০০০-এরও বেশি দ্বীপ রয়েছে যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ পাহাড়ি এলাকা বা প্লাবনভূমির কাছে বসবাস করে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণ অবৈধ খনির কারণে বর্ষাকালে দেশটিতে ভূমিধসের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্বশেষ ২০২২ সালে এমনই এক খনি দূর্ঘটনায় ১২জন নারী নিহত হন।
Source: https://apnews.com/article/indonesia-landslide-illegal-gold-mining-713e6f09762dc1de6c0523850a5dde82