চাঁদের অপরিচিত অঞ্চল যা পৃথিবী থেকে কখনো দেখা যায় না, সেখান থেকে পাথর ও মাটির নমুনা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে শুক্রবার একটি মহাকাশ অভিযান শুরু করল চীন। চীনের সর্ববৃহৎ রকেট লং মার্চ-৫ স্থানীয় সময় সকাল ৫:২৭ মিনিটে হাইনান দ্বীপের ওয়েনচ্যাং স্পেস লঞ্চ সেন্টার থেকে ৮ টনেরও বেশি ওজনের চ্যাং-৬ মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করে।
চ্যাং-৬ মহাকাশযানটি চাঁদের পিছনের অংশে অবস্থিত দক্ষিণ মেরু-এইটকেন অববাহিকায় অবতরণ করবে। সেখান থেকে পাথর ও মাটির নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে মহাকাশ যানটিকে। এই উৎক্ষেপণ চীনের চন্দ্র ও মহাকাশ অভিযান কর্মসূচির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন বলছেন বিজ্ঞানীরা।
২০১৮ সালে চ্যাং-৪ মিশনের মাধ্যমে চীন প্রথমবারের মতো চাঁদের অন্ধকার পাশে অবতরণ করতে সক্ষম হয়েছিল। ২০২০ সালে চ্যাং-৫ মিশনের মাধ্যমে ৪৪ বছর পর প্রথমবারের মতো চাঁদের নমুনা পৃথিবীতে আনা হয়। আর চ্যাং-৬ মিশনটি সফল হলে, চীন চাঁদের ‘অদৃশ্য’ অংশ থেকে নমুনা সংগ্রহকারী প্রথম দেশ হিসেবে ইতিহাস গড়বে।
চ্যাং-৬ চীনের চলতি দশকে পরিকল্পিত তিনটি উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ চন্দ্র অভিযানের প্রথম অভিযান। এর উত্তরসূরি চ্যাং-৭ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পানির সন্ধান করবে। আর চ্যাং-৮ পরিকল্পিত আন্তর্জাতিক চন্দ্র গবেষণা স্টেশন (আইএলআরএস) নির্মাণের কারিগরি সম্ভাব্যতা যাচাই করার চেষ্টা করবে। বেইজিং জানিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এই স্টেশনের একটি ‘বেসিক মডেল’ নির্মাণ করা হবে।