বৃহস্পতিবার চীনের শিচাং স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে নিজেদের দ্বিতীয় যোগাযোগ উপগ্রহ মহাকাশের উদ্দেশ্যে উৎক্ষেপণ করেছে পাকিস্তান। পাক স্যাট-এমএম ওয়ান নামের উপগ্রহটি পাকিস্তানের যোগাযোগ পরিষেবার উন্নয়নে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন স্পেস টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. খুররম খুরশিদ।
নতুন উৎক্ষেপিত পাকিস্তানি উপগ্রহ পৃথিবীর কক্ষপথের ৩৬,০০০ কিলোমিটার উপরে অবস্থান করবে। আগস্ট মাস থেকে উপগ্রহটি থেকে সেবা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পের সাথে যুক্ত বিজ্ঞানীরা।
পাকিস্তানের মহাকাশ এবং বায়ুমণ্ডল গবেষণা কমিশন-সুপারকো, চীনের সহায়তায় জাতীয় মহাকাশ কর্মসূচী-২০৪৭ এর অধীনে পাক স্যাট-এমএম ওয়ান উৎক্ষেপণ করেছে। পাকিস্তানের এই সাফল্য ১৯৬০-এর দশকে প্রথম রকেট উৎক্ষেপণের গৌরব পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
১৯৬২ সালের ৭ জুলাই, পাকিস্তান “রেহবার-ওয়ান” নামে পরিচিত তাদের প্রথম রকেটটি উৎক্ষেপণ করে। তখন সেটি পাকিস্তানকে ইসলামী বিশ্বে প্রথম, দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় এবং পুরো পৃথিবীতে ১০ম দেশ হিসেবে সফলভাবে মহাকাশযান উৎক্ষেপণের কৃতিত্ব দিয়েছিল।
তবে পরবর্তীতে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবের কারণে নিজেদের মহাকাশ কর্মসূচী টিকিয়ে রাখতে পারেনি পাকিস্তান।
পাক স্যাট-এমএম ওয়ান প্রকল্প পাকিস্তানের টেলিকম সেক্টরের ক্রমবর্ধমান চাহিদা, উচ্চ গতির ইন্টারনেট এবং অবিচ্ছিন্ন সংযোগের জন্য উন্নত যোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপনে অবদান রাখবে বলছেন বিজ্ঞানীরা। প্রকল্পের সাফল্যকে চীন এবং পাকিস্তানের মধ্যে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার একটি মাইলফলক মনে করছেন অনেকে।
বর্তমানে অন্য দেশের সহযোগিতায় মহাকাশ অভিযানে সাফল্য পেলেও ভবিষ্যতে নিজেদের স্বতন্ত্র মহাকাশ অভিযান চালানোর স্বপ্ন দেখছেন ড. খুরশিদ। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে পাকিস্তানের প্রযুক্তিবিদ, বিশেষজ্ঞ ও সুপারকো টিম একসাথে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
Source: https://tribune.com.pk/story/2469523/pakistan-rockets-forward-in-space-technology