প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে, মার্কিন সামরিক বাহিনী গাজায় সাহায্য ও ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানোর জন্য নির্মিত জেটিটি সরিয়ে নিয়েছে। মার্কিন কর্মকর্তারা পরবর্তীতে এটি পুনঃস্থাপন না করার কথা বিবেচনা করছেন বলে জানান।
এর আগে জেটির মাধ্যমে সামরিক বাহিনী খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করতে সহায়তা করেছে, তবে বেশিরভাগ খাদ্য সামগ্রী এখনো সংরক্ষণাগারে রয়ে গেছে। ত্রান বহণকারী গাড়িগুলো হামলার শিকার হওয়ায় মানবিক সংস্থাগুলো গাজার অভ্যন্তরে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
জাতিসংঘ জুন মাসের ৯ তারিখ থেকে জেটির মাধ্যমে আসা খাদ্য সামগ্রী বিতরণ বন্ধ রেখেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জেটির কাছাকাছি একটি এলাকায় সামরিক অভিযান পরিচালনার পর থেকেই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ বন্ধ হয়ে যায়। এ অভিযানে ২৭০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয় এবং জাতিসংঘের খাদ্য বিতরণ পরিচালনার ব্যাপারে নিরাপত্তা পর্যালোচনা শুরু হয়। শুক্রবার জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মুখপাত্র স্টিভ ত্রাভেল্লা বলেন, জেটি প্রকল্পে জাতিসংঘের কার্যক্রম নিরাপত্তা উদ্বেগের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
জেটিটি ব্যবহার করে এখন পর্যন্ত ১৯.৪ মিলিয়ন পাউন্ড বা ৮.৬ মিলিয়ন কিলোগ্রাম খাদ্য গাজায় পৌঁছানো হয়েছে। তবে সাহায্য সামগ্রী প্রদান স্থগিত রাখা এবং অপ্রত্যাশিত আবহাওয়ার কারণে এই সাহায্য ব্যাহত হচ্ছে। সমুদ্রের তীব্র ঢেউ জেটিটিতে আঘাত হানলে এর ক্ষয়ক্ষতি হয়, ফলে সামরিক বাহিনী এটি সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় এবং পরে পুনরায় স্থাপন করে। তবে শুক্রবার সমুদ্র উত্তাল থাকার কারণে সামরিক বাহিনী জেটিটি আবার সরিয়ে ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নিয়ে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মার্কিন কর্মকর্তা জানান, সামরিক বাহিনী খারাপ আবহাওয়া কেটে গেলে জেটিটি পুনঃস্থাপন করতে পারে, তবে এটি পুনঃস্থাপন করা হবে কিনা সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। পেন্টাগনের মুখপাত্র সাব্রিনা সিং স্বীকার করেন, জেটিটি কখন পুনঃস্থাপন করা হবে তা সম্পর্কে তিনি অবগত নন। তিনি আরও বলেন, গাজায় সাহায্য পৌঁছানোর জন্য সাইপ্রাসে আরও সাহায্য পাঠানোর প্রয়োজন রয়েছে এবং সাহায্য সংস্থাগুলোর সাথে খাদ্য বিতরণের বিষয়ে আলোচনা চলছে।
প্রায় নয় মাসব্যাপী ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে, ইসরায়েলের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং ত্রাণবহনকারী কনভয়গুলোর উপর হামলার কারণে ফিলিস্তিনিরা ব্যাপক ক্ষুধার সম্মুখীন হয়েছে, ফলে খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য সরবরাহের ব্যাপক চাহিদা দেখা দিয়েছে।
Source: https://apnews.com/article/gaza-pier-humanitarian-aid-f3e21c072630c0d9cb9498d3a0e27a55