জ্বালানি সংকটে আবারও হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার সতর্কতা প্রকাশ করলো গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জ্বালানির ঘাটতিতে শুহাদা আল আকসা হাসপাতালের কেন্দ্রীয় অংশে যেকোন সময় স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুসারে, চালু থাকা জেনারেটরগুলি সর্বোচ্চ তিন ঘন্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ যোগান দিতে পারে। তারপরেই সেগুলো কাজ করা বন্ধ করে দিবে। ফলে যেকোনো সময় ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে হাসপাতালে।
এর আগে হাসপাতালের মুখপাত্র খলিল আল-দাকরান জানান, “বৈদ্যুতিক জেনারেটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানী নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার কারণে হাসপাতালটি অপারেশন বন্ধ করতে বাধ্য হবে, যার ফলে বিপন্ন হতে পারে রোগীদের জীবন।” গত কয়েকদিন ধরে জ্বালানি সরবরাহের জন্য জরুরী আবেদন সত্ত্বেও কোনো ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে জানান আল-দাকরান।
এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় অবরুদ্ধ গাজায় নয়টি গণহত্যা চালিয়েছে, যার ফলে অন্তত ৯১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়াও হামলা চলাকালীন সময়ে প্রায় ২১০ জন আহত হওয়ার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীরা।
হামলায় নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। অ্যাম্বুলেন্স এবং উদ্ধারকারী দলগুলি এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা আহতদের বের করে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় সড়ক পরিবহন অবস্থার বেহাল দশার কারণে অনেক স্থানে পৌঁছাতে পারছে না অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধারকারী দল। এছাড়াও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী অ্যাম্বুলেন্স এবং সিভিল ডিফেন্স ক্রুদের চলাচলে বাধা দিচ্ছে।