চীনের বিরুদ্ধে আবারও বড় ধরনের সাইবার গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। এবার তাদের সাথে যোগ দিয়েছে চীনের প্রতিবেশি দেশ জাপান ও কোরিয়া। সম্প্রতি চীনের একটি গুপ্তচর সংস্থার বিরুদ্ধে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের গোপন তথ্য চুরির অভিযোগ তুলেছে দেশগুলো।
অস্ট্রেলিয়ার সাইবার ইন্টেলিজেন্স সংস্থা অস্ট্রেলিয়ান সিগন্যালস ডিরেক্টরেট (এএসডি) সম্প্রতি এপিটি-ফোর্টি (অ্যাডভান্সড পারসিস্টেন্ট থ্রেট) গ্রুপের কার্যক্রম নিয়ে একটি নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এপিটি-ফোর্টির সাথে বেইজিংয়ের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় (এমএসএস)-এর যোগসূত্র রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এএসডি দাবি করে, এপিটি-ফোর্টি বারবার অস্ট্রেলিয়ার নেটওয়ার্ক এবং আঞ্চলিক সরকারি এবং বেসরকারি খাতের নেটওয়ার্কগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করছে। গ্রুপটি খুব দ্রুত টার্গেট নেটওয়ার্কে দূর্বলতা খুঁজে বের করে সেগুলোকে নিজেদের সুবিধায় ব্যবহার করতে পারদর্শী।
এরই মধ্যে এশিয়া প্যাসিফিকের ফাইভ আইস ইন্টেলিজেন্স অংশীদাররা অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্বাধীন এই অভিযোগে যোগ দিয়েছে। পাশাপাশি জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান অস্ট্রেলিয়ার এই অভিযোগে নিজেদের সমর্থন জানিয়েছে।
এর আগেও এমএসএসের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার সাইবার ক্রাইমের অভিযোগ তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু এবারই প্রথম দেশটি নিজেদের নেতৃত্বে চীনের রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট গ্রুপের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ এনেছে।
এপিটি-ফোর্টি মূলত অস্ট্রেলিয়ার সংবেদনশীল আইটি নেটওয়ার্কে প্রবেশ করার জন্য অফিস এবং ওয়ার্ক-ফ্রম-হোম ডিভাইসগুলি ব্যবহার করার চেষ্টা করে। মূলত পুরোনো প্রযুক্তির ডিভাইসকে কাজে লাগিয়ে এমএসএস স্পন্সরকৃত হ্যাকাররা প্রায়শই সেই নেটওয়ার্কে এক্সেস পেতে সক্ষম হয় এবং নেটওয়ার্কে বৈধ ট্রাফিকের সাথে মিশে যায়।
এএসডির প্রতিবেদন প্রকাশের পর মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার হোম অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি কমনওয়েলথ সংস্থাগুলোতে ব্যবহৃত ইন্টারনেট সুবিধাযুক্ত সকল নেটওয়ার্ক ও ডিভাইসের পরিপূর্ণ নিরীক্ষার আদেশ দিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা এবিসি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং এক বিবৃতিতে জানান, “অস্ট্রেলিয়া সবসময় নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে কখনোই চীনের সাথে আপোষ করবে না। সরকার সবসময় সবগুলো দেশের সাথে সমন্বয়ে কাজ করতে আগ্রহী যেন অস্ট্রেলিয়া আরও শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী হয় এবং অস্ট্রেলিয়ানরা নিরাপদ থাকে।”