আগামী তিন বছরের জন্য নিজেদের তেল উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রী প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন সালমান। ২০২৮ সালে সেই সক্ষমতা পুনরায় বর্তমান স্তর ১২.৩ মিলিয়ন ব্যারেল প্রতি দিনে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির।
সেন্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন সালমান বলেন, “আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা প্রতিদিন ১৩ মিলিয়ন ব্যারেল থেকে ১২ মিলিয়ন ব্যারেলে নিয়ে এসেছি আমরা। তবে ২০২৫ সালে আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। ২০২৬ ও ২০২৭ সালেও বাড়তে থাকবে উৎপাদনের পরিমাণ। ২০২৮ সালে আবারও আমরা আমাদের ১২.৩ মিলিয়ন ব্যারেল উৎপাদন ক্ষমতায় ফিরে আসব।”
এসময় তিনি নিজেদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার উপর জোর দিয়ে বলেন, ওপেক+ এর সদস্য হিসেবে উৎপাদন ক্ষমতা পরিবর্তনের অধিকার তাদের রয়েছে। তার মানে এই নয় যে, ওপেক প্লাস এখন বাজারে নিজেদের প্রভাব বিস্তারে কাজ করবে। ভীতি প্রদর্শনের নীতি ওপেক প্লাসের সাথে চলবে না।
গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওপেক থেকে বের হয়ে যাওয়ার জল্পনা-কল্পনা শোনা যাচ্ছিল গণমাধ্যমে। আবুধাবিতে এক সংক্ষিপ্ত বৈঠকে বিষয়টির সমাধান হয়েছে বলে জানিয়েছেন সৌদি জ্বালানি মন্ত্রী।
প্যানেল আলোচনায় ওপেক প্লাসের মহাসচিব হাইথাম আল-ঘাইস বলেন, গত বছর বিশ্বে তেলের চাহিদা সম্পর্কে ওপেক প্লাসের দেয়া পূর্বাভাস সঠিক ছিল। যারা আমাদের সমালোচনা করেছিল, বছর জুড়ে তাদের নিজেদেরকেই সমন্বয় করে চলতে হয়েছে। এসময় তিনি দ্রুত বর্ধনশীল তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং বাড়তে থাকা চাহিদা মেটাতে আরও বিনিয়োগের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
আলোচনায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্বালানি ও অবকাঠামো মন্ত্রী সুহাইল মোহাম্মদ আল-মাজরুই ওপেকের প্রতি নিজেদের সমর্থন ও প্রতিশ্রুতির কথা জানান।
এসময় রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নভাক বলেন, বিশ্ব জ্বালানি খাতে স্থিতিশীলতা নিয়ে আসা সব পক্ষেরই লক্ষ্য। সেই সমন্বয় রক্ষায় ওপেক প্লাসের অংশীদারদের সাথে চুক্তির অধীনে মে মাসেও তেল উৎপাদন হ্রাস অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া।
Source: https://www.arabnews.com/node/2524906/business-economy