বৃহস্পতিবার তেহরানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সাথে সাক্ষাৎ করেছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। ইরানের সংবাদমাধ্যম এসএনএন জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে শোক জানাতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সর্বশেষ ২০২২ সালে তেহরানে সাক্ষাৎ করেছিলেন খামেনি ও আসাদ। সেসময় উভয় পক্ষ শক্তিশালী সম্পর্কের আহবান জানিয়েছিলেন নিজেদের প্রতি। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে আবারও সেই প্রত্যয় ব্যক্ত করে “সম্পর্ক এখনো মজবুত রয়েছে” বলে মন্তব্য করেছেন আসাদ ও খামেনি।
বৈঠকে আসাদের দৃঢ় অবস্থানের প্রশংসা করে খামেনি বলেন, “‘প্রতিরোধ’ সিরিয়ার সরকারের এই বিশেষ গুণ। এই পরিচয় সবসময় সিরিয়ার জাতীয় ঐক্যে অবদান রেখেছে।”
খামেনি আরো বলেন, “পশ্চিমা দেশগুলো এবং তাদের মিত্ররা সিরিয়াকে আঞ্চলিক সমীকরণ থেকে সরাতে দেশটিকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছিল, কিন্তু তারা সফল হয়নি। এখন তারা অন্য পদ্ধতি ব্যবহার করে সিরিয়াকে আঞ্চলিক সমীকরণ থেকে সরাতে চায়।”
এসময় ইরান ও সিরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করার উপর জোর দেন দুই নেতা।
বৈঠকে প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে ইরানের প্রতি সহমর্মিতা জানান আসাদ। এসময় দুইদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে প্রয়াত রাইসি ও আমিরাব্দুল্লাহিয়ানের অবদানের প্রশংসা করেন তিনি।
২০১১ সালে আরব বসন্তের জোয়ারে পশ্চিমা সমর্থনের গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভ থেকে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। তারপর থেকে সিরিয়ার মিত্র দেশ ইরান ও রাশিয়ার বিভিন্ন সহায়তায় প্রেসিডেন্ট আসাদ বিদ্রোহ দমন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সক্ষম হয়েছেন।
Source: https://www.arabnews.com/node/2520021/middle-east