জাতিসংঘের খাদ্য ও মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন ইসরাইল গাজায় একটি কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির অভিযান পরিচালনা করছে। যার ফলে নিরীহ ফিলিস্তিনি শিশুরা অসহায়ভাবে মৃত্যুবরণ করছে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের ১০ জন স্বাধীন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ একটি বিবৃতিতে বলেছেন আমরা ঘোষণা করছি যে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের ওপর ইসরাইলের ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরি করা দুর্ভিক্ষ নিঃসন্দেহে এক ধরনের গণহত্যা। যার ফলে গাজায় চারদিক থেকে দুর্ভিক্ষ ছেয়ে গেছে।
জাতিসংঘ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে গাজায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেনি। কিন্তু জাতিসংঘের এক খাদ্য অধিকার বিশেষজ্ঞ মাইকেল ফাখরি জোর দিয়ে বলেছেন এটা অস্বীকার কর কোন উপায় নেই যে গাজায় দুর্ভিক্ষ ধেয়ে আসছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের কর্মীদের তথ্যমতে সাত অক্টোবরে পর থেকে গাজায় এপ্রযন্ত চৌত্রিশ জন ফিলিস্তিনি অনাহারে মৃত্যুবরণ করছে। যাদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু।
তবে বিশেষজ্ঞ দলের এই মন্তব্যকে ইসরাইল তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর সমালোচনা করেছে। ইসরাইলের দাবি যারা এই বিবৃতি সমর্থন করেছে তারা সবাই মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে ও হামাসের অপপ্রচারকে সমর্থন করছে।
সম্প্রতি গাজায় অনাহারে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি এসবকিছুই প্রমাণ করে উত্তর গাজা থেকে মধ্য এবং দক্ষিণ গাজায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়েছে।
অপরদিকে দক্ষিন গাঁজার খান ইউনিসের একটি স্কুলে আশ্রয় নেয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর হামলা চালিয়েছে ইসরাইল সেনাবাহিনী। এতে অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
খান ইউনিসের কাছে আল আওদা স্কুলে এ হামলা চালানো হয়। আহতদের খান ইউনিসের নাসের হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে এ নিয়ে চারবার স্কুলে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের উপর এ ধরনের হামলা চালানো হয়। এতে প্রযন্ত অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
Souce:
2. https://www.arabnews.com/node/2546536/middle-east