পাপুয়া নিউগিনির একটি দূরবর্তী গ্রামে ভূমিধসে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার ভোরে ঐ দেশের রাজধানী পোর্ট মোর্সবি থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এঙ্গা প্রদেশের ইয়ামবালি গ্রামে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
আশেপাশের এলাকার বাসিন্দারা জানান, পাহাড় ধসে গিয়ে ঢালু এলাকাটিতে থাকা পাথর ও গাছপালা গ্রামের একাংশকে ঢেকে ফেলে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ওশেনিয়া অঞ্চলের প্রধান সেরহান আক্টোপ্রাক জানান, “এলাকাটিতে মাটি এখনও ধসে চলেছে। তাই উদ্ধারকর্মীদের পক্ষে কাজ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে।” ভূমিধসের কারণে রাজধানী থেকে ইয়ামবালি আসার মূল সড়কটি বন্ধ হয়ে পড়েছে, ফলে উদ্ধারকর্মীদের কাজে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাটি তিন থেকে চারটি ফুটবল মাঠের সমান এবং গ্রামটিতে প্রায় ৪,০০০ জন লোক বাস করে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আক্টোপ্রাক। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী প্রায় ১০০ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হলেও, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে জানান তিনি।
দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে জানিয়েছেন, প্রাথমিক পরিস্থিতি সামাল দিতে সব পক্ষই সামর্থ্য অনুসারে কাজ চালাচ্ছে। সড়ক অবকাঠামো পুননির্মাণ ও উদ্ধাকাজে সহযোগিতার জন্য ইতিমধ্যে দল পাঠানো হয়েছে সেখানে। ধ্বংস ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পরে প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন মারাপে।
পাপুয়া নিউগিনির নিকটতম প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়া সাহায্য করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। এক টুইটবার্তায় ভূমিধসের ঘটনায় পিএনজির জনগণের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং।
পাপুয়া নিউগিনি একটি বৈচিত্র্যময়, কৃষিনির্ভর উন্নয়নশীল দেশ। দেশটিতে বড় শহরের বাইরে সড়ক যোগাযোগ খুবই সীমিত। পাপুয়া নিউগিনির ভয়াবহ দুর্যোগের পর, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে জরুরি সহায়তা পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে।
Source: https://www.euronews.com/2024/05/25/more-than-100-feared-dead-in-papua-new-guinea-landslide