ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছিল ডানপন্থীরা। ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রেও প্রথম দফায় এগিয়ে থাকতে দেখা যায় তাদেরকে। কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনে বিজয় নিশ্চিত করাটা সবচেয়ে বেশি জরুরি ছিল, সেখানেই পিছিয়ে পড়লো ডানপন্থীরা।
ফ্রান্সের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, দেশটির ডানপন্থী রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল র্যালি (আরএন) সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি তারা দ্বিতীয় অবস্থানেও নেই।
দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে নাটকীয়ভাবে জয়ী হয়েছে বামপন্থী দলগুলোর জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনপিই)। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে, ফ্রান্সের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রঁর মধ্যপন্থী দল। এর আগে, প্রথম দফার নির্বাচনে প্রায় ৩৩ শতাংশ ভোট নিয়ে এগিয়ে ছিল ন্যাশনাল র্যালি (এনআর)। এর বিপরীতে, ২৮ শতাংশ ভোট নিয়ে ফ্রান্সের বামপন্থী জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনপিএফ) দ্বিতীয় অবস্থানে এবং প্রায় ২১ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিল মি. ম্যাক্রঁর নেতৃত্বাধীন অনসম্বল অ্যালায়েন্স। এই অবস্থায় ডানপন্থীদের ঠেকাতে ফ্রান্সের মধ্যপন্থী ও বামপন্থী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ।
এরপর আপসের ভিত্তিতে বাম ও মধ্যপন্থী দলগুলোর প্রার্থীদের অনেকেই একে অন্যকে একাধিক আসন ছেড়ে দেন। আর এর ফলেই ডানপন্থীরা পিছিয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ আগামী সপ্তাহগুলোতে এনপিএফ-এর প্রধান মুখগুলোর সাথে একটি নতুন জোট সরকার গঠন করার চেষ্টা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এনপিএফ-এর রাজনীতিবিদরা সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু করেন। গ্রীন পার্টির নেতা মেরিন ট্রন্ডেলিয়ার ফরাসি মিডিয়া জানিয়েছে, ম্যাক্রোঁকে আজই যোগাযোগ করতে হবে যেন তারা একজন প্রার্থী মনোনীত করতে পারে। সেন্টার-লেফট সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা রাফায়েল গ্লুক্সম্যান বলেন, তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে একজন প্রার্থী মনোনীত করতে প্রস্তুত থাকা উচিত।
Source: https://www.dw.com/en/france-who-will-rule-after-shock-win-for-left/a-69596559