রবিবার ফ্রান্সের ক্ষমতার লড়াইয়ে দ্বিতীয় দফার ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম দফার নির্বাচনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রনের দল রেঁনেসা পার্টিকে ভালোভাবেই টক্কর দিয়েছে দেশটির চরম ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র্যালি।
একই সাথে ফ্রান্সের বিদেশি অঞ্চল ও বিদেশে বসবাসরত ফরাসী নাগরিকরা শনিবার থেকে সংসদীয় দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ভোট দেওয়া শুরু করেছেন। তাদের ভোট ডানপন্থী দলটির জন্য অভূতপূর্ব জয়ের সম্ভাবনা রাখতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে গত রবিবারের প্রথম দফার নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়ে শীর্ষে ছিল মেরিন লে পেনের অ্যান্টি-ইমিগ্রেশন পার্টি ন্যাশনাল র্যালি। তারপরেই অবস্থান করেছে মধ্য বামপন্থী, চরম বামপন্থী ও গ্রীন পার্টির সম্মিলিত জোট। বর্তমান প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোর কেন্দ্রজোট রয়েছে তৃতীয় স্থানে।
ফরাসী গায়ানা, সেন্ট-বার্থেলেমি, সেন্ট-মার্টিন, গুয়াদেলৌপ, মার্টিনিক, ফরাসী পলিনেশিয়া এবং আমেরিকান মহাদেশে বসবাসরত ফরাসী নাগরিকরা বিকেলে ভোট দিতে শুরু করবেন। নিউ ক্যালেডোনিয়ায় দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু হবে প্যারিস সময় রাত ১০টায়। এছাড়াও বিদেশে বসবাসরত ফরাসী নাগরিকরাও বুধবার ও বৃহস্পতিবার ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভোট দিতে পেরেছেন।
রবিবার দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের মাধ্যমে ফ্রান্সের মূল ভূখণ্ডের নির্বাচন সম্পন্ন হবে। রবিবার মধ্যরাত বা সোমবার সকালের মধ্যেই চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের আশা করা হচ্ছে।
গত মাসে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে ফ্রান্সে ন্যাশনাল র্যালি সর্বাধিক ভোট পাওয়ার পর ম্যাক্রো এই আকস্মিক আইনসভা নির্বাচন ডাকেন। গত দশকে ফ্রান্সে দলটির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। ন্যাশনাল পার্টি মূলত ফ্রান্সের অভ্যন্তরীণ সমস্যার জন্য অভিবাসনকে দোষারোপ করে আসছে। ফলে দলটি ক্ষমতায় আসলে সেখানে অবস্থানরত অভিবাসীদের বিপত্তির মুখে পড়তে হতে পারে।
এদিকে নির্বাচনের ফলাফল যাই আসুক না কেন, ২০২৭ সালে মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রো।