মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে চলমান ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনে এবার আলোচনা শুরু হয়েছে চীনের অবস্থান নিয়ে। রাশিয়ার সাথে দেশটির মিত্রতার অবস্থানকে ভালোভাবে দেখছে না ন্যাটোর বেশ কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র। ফলে এবারের সম্মেলনে চীনের ব্যাপারেও কঠোর নজরদারি শুরু করতে পারে ন্যাটো।
শীর্ষ সম্মেলনের আগে মার্কিন সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ চীনকে রাশিয়ার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন যুদ্ধের মূল সহযোগী বলে অভিযুক্ত করেছেন।
এর আগে মে মাসে প্রাগে ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, চীনের সমর্থন এই মুহূর্তে যুদ্ধক্ষেত্রে একটি বিশাল পরিবর্তনকারী। এসময় ইউরোপের দেশগুলোর সাথে চীনের সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টা, একই সাথে রাশিয়ার সাথে তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখাকে ধোয়াশাপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ন্যাটো বারবার চীনের বিরুদ্ধে মস্কোতে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ তুলে আসছে। তবে প্রতিবারই বেইজিং মস্কোকে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
মার্কিন মূল্যায়ন অনুযায়ী, চীন মেশিন টুলস, মাইক্রোইলেকট্রনিক্স, যা গোলাবারুদ এবং রকেট-প্রপেলার তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ নাইট্রোসেলুলোজ এবং অন্যান্য দ্বৈত ব্যবহারযোগ্য সামগ্রীর শীর্ষ সরবরাহকারী, যা মস্কো তার প্রতিরক্ষা শিল্প ভিত্তি বাড়াতে ব্যবহার করছে।
সম্মেলন চলাকালীন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, ন্যাটো জোট এখন চীন ও রাশিয়ার সম্পর্কের দিকে মনোনিবেশ করতে যাচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে চীনকে তার নিরাপত্তা স্বার্থের জন্য প্রধান হুমকি হিসেবে বিবেচনা করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে তারা ইউরোপে তাদের মিত্র দেশগুলোকেও বিশ্বাস করাতে শুরু করেছে চীন তাদের জন্য একটি বিশাল হুমকি। ফলে ইউরোপের অনেকেই এখন মনে করে এশিয়া এবং ইউরোপে মার্কিন মিত্ররা একই ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
Source: https://www.dw.com/en/nato-summit-set-to-slam-china-for-supporting-russia/a-69611683