হাইতিতে কয়েক মাস ধরে চলা গণ সহিংসতার এবং নতুন ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের শপথ নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন এরিয়েল হেনরি। গত মার্চ মাসেই পদত্যাগ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স সহ সমগ্র দেশ জুড়ে কয়েক মাস ধরে চলা গ্যাং সহিংসতার পর এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন হেনরি।
গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন আয়োজনের জন্য একটি নতুন অন্তর্বর্তী সরকার নিয়োগের উদ্দেশ্যে ট্রানজিশনাল কাউন্সিল শপথ গ্রহণ করেছে। হেনরিরর মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী প্যাট্রিক বোইসভার্ট এই সময় দেশটির অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ কবে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়নি।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিকের জানিয়েছে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস হাইতির নতুন কর্তৃপক্ষকে ক্রান্তিকালীন শাসন ব্যবস্থার সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন গতিশীল করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা একটি চিঠিতে হেনরি বলেছেন, “তার সরকার কঠিন সময়ে জাতির সেবা করেছে।” ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে যারা নিপীড়িত হয়েছেন তাদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন তিনি। একই দিনে প্রকাশিত আরেকটি চিঠিতে “ব্যক্তিগত কারণে” পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন হেনরি।
গত ফেব্রুয়ারিতে হেনরি কেনিয়ায় একটি সরকারী সফররত অবস্থায় দেশটিতে গ্যাং আক্রমণ শুরু হয়। ২৯ফেব্রুয়ারি হাইতির রাজধানী এবং আশেপাশের এলাকায় সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে বিভিন্ন গ্যাং। হাইতিতে জাতিসংঘের সমন্বিত কার্যালয়ের তথ্য অনুসারে জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে সহিংসতায় আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত বা আহত হয়েছে।
Source: https://www.dw.com/en/haiti-prime-minister-ariel-henry-resigns/a-68921904