গাজায় পোলিশ ত্রাণকর্মীর মৃত্যুর পর পোল্যান্ড ও ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। পোলিশ রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের একটি মন্তব্যকে “আপত্তিকর” বলে নিন্দা করেছেন। এঘটনার জেরে ওয়ারশতে পোল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে।
এই সপ্তাহে দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সাথে গাজায় অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের খাবার সরবরাহ করার সময় নিহত সাতজনের মধ্যে একজন পোলিশ ব্যক্তি ছিলেন। ৩৫ বছর বয়সী সেই পোলিশ নাগরিকের নাম ড্যামিয়ান সোবোল।
পোল্যান্ডে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ইয়াকভ লিভনে এই আগুনে আর ঘি ঢেলে দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে তিনি অভিযোগ করেন পোল্যান্ডের চরম ডান ও বামনপন্থীরা ইসরায়েলকে “ইচ্ছাকৃত হত্যা”য় অভিযুক্ত করতে চাচ্ছে। তিনি বলেন, “ইহুদি-বিরোধীরা সর্বদাই ইহুদি-বিরোধী থাকবে। কিন্তু ইসরায়েল একটি গণতান্ত্রিক ইহুদি রাষ্ট্র থাকবে যেটি অস্তিত্বের অধিকারের জন্য লড়াই করবে।”
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি আন্দ্রেজ ডুদা বৃহস্পতিবার মন্তব্যটিকে “আপত্তিজনক” বলে অভিহিত করেছেন। ডুদা বলেন, “ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষ এই ট্র্যাজেডি সম্পর্কে “খুবই দমিতভাবে” কথা বলেছে। পোল্যান্ডে তাদের রাষ্ট্রদূতের এমন বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য।”
পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক একই অবস্থানে ঘোষণা করে বলেছেন, আপত্তিকর মন্তব্য করার জন্য রাষ্ট্রদূতের ক্ষমা চাওয়া উচিত। ইসরায়েলকে সোবোলের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আহ্ববান জানান তিনি।
পোল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার সকালে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে।