ইউক্রেনকে দীর্ঘ-পাল্লার অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত করার অনুমতি দেয়ার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। ম্যাক্রনের এই মন্তব্যে উপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে ইউক্রেনের মিত্র দেশগুলর উপর।
২০২২সাল শুরু হওয়া ইউক্রেনে রাশিয়ান আগ্রাসনে পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করা হবে কিনা সেটি নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি হয়। বেশিরভাগ পশ্চিমা নেতা এই পদক্ষেপ থেকে নিজেদের বিরত থেকেছেন। কারণ এ ধরনের পদক্ষেপে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে প্ররোচিত করার ঝুঁকি রয়েছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইউক্রেন আগ্রাসনে পশ্চিমা বিশ্বের যেকোনো ধরনের প্রতিরোধ পদক্ষেপ বিশ্বকে পরমাণু সংঘাতের পথে নিয়ে যেতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধে সাফল্য পাচ্ছে রাশিয়া। অন্যদিকে কিয়েভের বাহিনী পড়েছে সৈন্য ও গোলাবারুদ ঘাটতিতে। এছাড়াও ইউরোপ থেকে কমে এসেছে দেশটির জন্য সামরিক সহায়তা।
ম্যাক্রনের মন্তব্যের একদিন পর, ন্যাটো সেক্রেটারি-জেনারেল জেনস স্টলটেনবার্গ জোটের সদস্যদের প্রতি পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহারে ইউক্রেনের ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আত্মরক্ষার জন্য বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার অধিকার রয়েছে ইউক্রেনের।” শুধুমাত্র ইউক্রেনের উপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে ব্যবহৃত রাশিয়ান ঘাঁটিগুলো বৈধ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচিত হবে, বলে জোর দিয়েছেন ম্যাক্রন।
তবে পারমাণবিক সংঘাতের আশংকায় ইউক্রেনকে মার্কিন সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দিবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি।
এদিকে চলতি সপ্তাহে ইউক্রেনের জন্য নতুন ইউরোপীয় সাহায্যের ঢল এসেছে। বেলজিয়াম ও স্পেন প্রত্যেকে প্রায় ১ বিলিয়ন ইউরো সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বুধবার এক ঘোষণায় ইউক্রেনকে ১.২৩ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দেয়ায়র কথা জানিয়েছে সুইডেন।
Source: https://apnews.com/article/russia-ukraine-war-macron-weapons-e308755a31716ee0123b441bb9b548b0