গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি হামলায় কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে পাঁচ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। গাঁজার সরকারি মিডিয়া অফিসের দাবি অনুসারে এর মাধ্যমে ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১৫৮ সাংবাদিক ইসরাইলের হাতে প্রাণ হারিয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো এর আগে বেশ কয়েকবার সতর্ক করে জানিয়েছে যে ইজরাইলি সেনাবাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করছে, যাতে গাজায় চালানো তাদের বর্বর যুদ্ধপরাধের খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত না হয়।
ইন্টারন্যাশনাল কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট এর তথ্যমতে গাজা যুদ্ধ সাংবাদিকদের জন্য ইতিহাসের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর জার্নালিস্ট এর রিপোর্টে বলা হয় গাজা যুদ্ধে সাংবাদিকদের উপর সহিংসতার পরিমাণ গত ৩০ বছরের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে।
অন্যদিকে পশ্চিম তীরে অবৈধ ইসরাইলি দখলদাররা ফিলিস্তিনিদের কৃষি জমি ও শস্যক্ষেত ধ্বংস করছে। ইসরাইলি অবৈধ দখলকারীরা পশ্চিম তীরের বিশাল শষ্য ক্ষেতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়, এতে বিরাট অঞ্চলজুড়ে কৃষি জমি পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে।
রামারাল্লার প্রশাসন জানিয়েছে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে অক্ষম। এছাড়াও দখলকারীরা ফিলিস্তিনিদেরকে তাদের জমিতে প্রবেশ করতেও বাধা দিচ্ছে। এর ফলে এ অঞ্চলের অনেক কৃষি জমি অনাবাদি থেকে যাচ্ছে।
অন্যদিকে নতুন করে শুরু হওয়া ইসরাইলি অভিযানের কারণে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি গাজার ফুটবল স্টেডিয়ামে আশ্রয় নিয়েছে। যেখানে অসংখ্য পরিবার পানি এবং খাবার থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছে। গাজায় পানি এবং খাদ্য সরবরাহের পরিমাণ চাহিদার তুলনায় খুবই সামান্য।
নতুন করে উত্তর গাজায় এবং সুজাইয়া বসতিতে ইসরাইলি অভিযান শুরু হওয়ায় ফিলিস্তিনিরা নিরাপদ কোন আশ্রয় খুঁজে পাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে তারা স্টেডিয়ামে আশ্রয় নিয়েছে। যেখানে তাদের জন্য কোন খাবার কিংবা পানি অবশিষ্ট নেই।
Source: