স্কটল্যান্ডের অর্কনি দ্বীপপুঞ্জের স্যান্ডে দ্বীপে বৃহস্পতিবার ভেসে আসে ৭৭টি লং-ফিনড পাইলট তিমি। এর মধ্যে ৬৫টি তিমি আগেই মারা গিয়েছিল বলে জানায় ব্রিটিশ ডাইভারস মেরিন লাইফ রেসকিউ (বিডিএমএলআর)। অবশিষ্ট ১২টি তিমি এতটাই দুর্বল অবস্থায় ছিল যে সেগুলি বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিডিএমএলআর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, “দুঃখজনকভাবে অবশিষ্ট ১২টি পাইলট তিমিকে তাদের অবস্থার অবনতির কারণে ইউথানাইজ করতে হয়েছে। কারণ তারা বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে সৈকতে আটকে ছিল।”
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, দীর্ঘ সময় ধরে সৈকতের তীরে পড়ে থাকার ফলে তিমিগুলোর নিজেদের ওজনের শরীরের অভ্যন্তরে আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এছাড়াও শ্বাসনালীতে জোয়ারের পানি প্রবেশের উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে। ভেসে আসা তিমিগুলি জোয়ারের সাথে বালুর আরও গভীরে ঢুকে যাওয়ার কারণে নিজেদের পুনরায় জোয়ারের সাথে ভাসিয়ে নিতে অক্ষম ছিল তিমিগুলো।
তিমিগুলো সবাই কিভাবে সমুদ্রতটে আটকে পড়ে এবং মারা যায় সে সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট নির্দেশনা এখনো পায়নি বিডিএমএলআর। তবে তিমিগুলিকে পুনরুদ্ধার করে পোস্টমর্টেম পরীক্ষা করার চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
সমুদ্রে পাইলট তিমি সবসময় নিজেদের গোষ্ঠীর সাথে দলবদ্ধভাবে চলাফেরা করে। সমুদ্রতীরে পাইলট তিমির এমন গণ আটকা পড়ার ঘটনাও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু কেন এই ঘটনা ঘটে তার সঠিক কারণ এখনো পর্যন্ত খুঁজে বের করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
এর আগে ২০২৩ সালে, স্কটল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিম উপকূলের লুইস দ্বীপে প্রায় ৫৫টি পাইলট তিমি আটকা পড়েছিল। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের আশেপাশেও এমন তিমিদের এমন বৃহত্তর গণ আটকা পড়ার ঘটনা বেশ সাধারণ।
Source: https://www.dw.com/en/dozens-of-pilot-whales-die-on-beach-off-scotland/a-69649349