রেকো ডিক খনির প্রকল্পে ঋণ দেয়ার মাধ্যমে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তানের সরকারি ও কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের মাধ্যমে রেকো ডিক প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহী ওয়াশিংটন। সবকিছু চূড়ান্ত হলে এটি হবে পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথমবারের মতো বড় ধরনের বিনিয়োগ প্রকল্প।
বালুচিস্তানের রেকো ডিক প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৬ বিলিয়ন থেকে ৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কামার আব্বাসি জানান, “বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান রেকো ডিক প্রকল্পে অর্থায়নের সম্ভাবনা যাচাই করছে।” সূত্রমতে, প্রকল্পটির জন্য ৩ বিলিয়ন থেকে ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ প্রয়োজন। তবে এর কতটুকু এক্সিম ব্যাংক এবং কতটুকু অন্যান্য ঋণদাতাদের থেকে আসবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সূত্রগুলো জানায়, ঋণ দেওয়ার আলোচনায় খনন কাজের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। তবে এই ঋণ পাওয়ার জন্য এক্সিম ব্যাংককে ‘প্রিফার্ড ক্রেডিটর’ মর্যাদা দিতে হবে।
বিনিয়োগের বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব এবং ইসলামাবাদে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড ব্লোমের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
যদি প্রকল্পের প্রধান শেয়ারহোল্ডার এবং ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রক ব্যারিক গোল্ডসহ সমস্ত পক্ষ একমত হয়, তবে এটি পাকিস্তানে কয়েক দশকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম বড় ধরনের বিনিয়োগ হবে।
রেকো ডিক প্রকল্পের ৫০শতাংশের মালিকানা ব্যারিক গোল্ডের অধীনে। ২৫শতাংশের মালিক তিনটি ফেডারেল সরকারী সংস্থার এবং অবশিষ্ট ২৫শতাংশ বালুচিস্তানের জন্য রয়েছে। পাকিস্তান ইতিমধ্যে সৌদি আরবকে ফেডারেল সরকারী সংস্থার শেয়ারগুলি কেনার প্রস্তাব দিয়েছে।
ব্যারিক গোল্ড বর্তমানে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চালাচ্ছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হবে এবং ২০২৮ সালের মধ্যে প্রথম উৎপাদন শুরু করতে পারবে বলে আশা করছে কোম্পানিটি।
Source: https://tribune.com.pk/story/2468939/us-interested-in-giving-loan-for-reko-diq-mining-project