পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী চমন অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে চলমান উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। সীমান্ত চলাচলের নতুন ভিসা নীতির বিরুদ্ধে গত ছয় মাস ধরে পাখতুন সম্প্রদায় ব্যাপক প্রতিবাদ বিক্ষোভ করে আসছে। এই অঞ্চলের স্থানীয় পাকতুন সম্প্রদায়ের লোকজন ঐতিহাসিকভাবেই সীমান্তের দুই পাড়ে স্বাধীনভাবে যাতায়াত করে আসছে। গত অক্টোবরে পাকিস্তান সরকার সীমান্ত অতিক্রমের জন্য পাসপোর্ট এবং ভিসা বাধ্যতামূলক করার ফলে তাদের নিয়মিত যাতায়াত বিঘ্নিত হচ্ছে।
এই নতুন নীতির কারণে সীমান্তবর্তী পাকতুনদের জীবিকা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সীমান্তের দুই পাড়ে অনেকের আত্মীয়স্বজন, জমিজমা, ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আফগানিস্তান থেকে চিকিৎসা সেবা নেওয়াও তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। পাখতুন প্রতিবাদকারীরা দাবি করছেন সীমান্তে এই কঠোর নিয়ন্ত্রণ তাদের ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক অধিকার লঙ্ঘন করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ‘চমন পার্লাট’ আন্দোলনের সংগঠক আখোয়ান্দ বলেন, “আমরা একটি নতুন রাষ্ট্র বা স্বাধীনতা দাবি করছি। আমরা শুধু আমাদের জীবিকা ফিরে চাই।”
অন্যদিকে, পাকিস্তান সরকার এখনো তাদের অবস্থানে অনড়। সীমান্তে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রোধ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন পদ্ধতি প্রবর্তনের মূল কারণ বলে তারা উল্লেখ করছে। বিক্ষোভকারীদের সাথে সরকার কয়েক দফা আলোচনায় বসলেও কোন সমাধান এখনও পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই দীর্ঘস্থায়ী উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।