আফগান মাটি থেকে অপারেশন পরিচালনা এবং আল-কায়েদার কাছ থেকে অর্থ ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তাহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)।
পাকিস্তানের ধর্মীয় পণ্ডিত, জাতীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যে এক লিখিত বার্তায়, টিটিপি নেতা নূর ওয়ালি মেহসুদ জানান, তারা ইসলামী আমিরাত থেকে কোন সহযোগিতা পান না।
লিখিত বার্তায় টিটিপি নেতা দাবি করেন, “তাদের অপারেশন চালানোর জন্য কোন বিদেশী সাহায্যের প্রয়োজন হয় না। কারণ তাদের কোন বিদেশী এজেন্ডা নেই। বরং তাদের লক্ষ্য হলো জেনারেল এবং শাসকদের অত্যাচার থেকে তাদের জাতিকে রক্ষা করা।”
২০বছরের গেরিলা যুদ্ধের পরেও সামনের সময়ে যুদ্ধ চালিয়ের যাওয়ার সক্ষমতা সংগঠনটির রয়েছে বলে জানান ওয়ালি মেহসুদ।
বার্তায় পাকিস্তানের তালেবান কাতার এবং অন্যান্য ইসলামী দেশগুলোকে অনুরোধ জানায় একটি স্বাধীন তদন্ত পরিচালনার জন্য যেখানে প্রমাণিত হবে টিটিপি কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন না। নিজেদের প্রতিরক্ষায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার দাবি করেছে সংগঠনটি।
এছাড়াও পাকিস্তানের নতুন সামরিক অপারেশন আজম-ই-ইসতেহকাম-এর বিরোধিতা করার জন্য পাকিস্তানের ধর্মীয়, রাজনৈতিক, এবং জাতীয় নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মেহসুদ।
গত মাসে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের অনুমোদনের পর দেশে অপারেশন আজম-ই-ইসতেহকাম শুরু করে।
এসময় আলোচনার টেবিলে বসতে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য পাকিস্তানের জেনারেল ও সরকারকে দায়ী করেন মেহসুদ।
টিটিপির অভিযোগ ৯/১১ এর পর পাকিস্তানের পশতুদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল উপজাতিদের স্বাধীনতা নির্মূল করা।
এযুদ্ধে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী এবং আমেরিকান ড্রোন হাজার হাজার পুরুষ, নারী এবং শিশুকে হত্যা করেছে এবং উপজাতিদের স্কুল, ঘরবাড়ি, মসজিদ এবং মাদ্রাসা ধ্বংস করেছে, যার ফলে তারা অস্ত্র তুলতে বাধ্য হয়েছে সংগঠনটি।
Source: https://tolonews.com/world/regional-189731