আরববিশ্ব ডেস্ক।।
পবিত্র রমজান মাসে গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। সেহরীর পর থেকে গাজার দক্ষিণ অঞ্চলের রাফাহ সীমান্তে ইসরায়েলে চারবার বিমান হামলা করে। এই হামলায় সেহরীর পরেই অন্তত আরও ৮০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি প্রথম রোজা থেকেই ইসরায়েলের “গাজাবাসীদের দূর্ভিক্ষে মেরে ফেলো” ক্যাম্পেইন আরও জোড়ালো হয়েছে।
এমন অবস্থায় গাজাবাসী বলেন তারা ভেঙে পড়েননি। এই বছরের রমজান মাস অন্য রমজান মাসের থেকে আলাদা হবে গাজাবাসী সেটা মেনে নিয়েছেন। তারা যুদ্ধ শেষ না হওয়া অব্ধি, আল্লাহর ইবাদত করে যাবে, বিশ্বাসে অনড় থাকবে।
এর আগে গাজার প্রতিটি অঞ্চলে ইসরায়েলের ভেঙে ফেলা মসজিদগুলোতে মুসুল্লিদেরকে একসাথে ইবাদত করতে দেখা যায়।
এদিকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে মুসলিমদের পবিত্র মসজিদ আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েল গতকাল রাত থেকেই কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়েছিলো। তা স্বত্ত্বেও সাহরীর আগে থেকেই ফিলিস্তিনবাসীরা আল-আকসা প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকে ইবাদতের উদ্দেশ্য। কিন্তু এবারও ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা দেখা যায়। তারা নারি পুরুষ শিশুদের ভারী অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে সেখান থেকে সরানোর চেষ্টা করে। তবে সাহরীর ইবাদতের সময় অব্ধী আল-আকসা প্রাঙ্গণ ছেড়ে যায়নি মুসুল্লীরা।
ইসরায়েল বলেছিলো এই রমজানে তারা কেবল চল্লিশোর্ধ বয়সী মুসলিম নারীদেরকেই আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করতে দেবে। তবে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে মুসলিমরা একত্রিত হয়ে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায়।
আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি বাহিণির বর্বরতার খবর পাওয়া গেলে। ফিলিস্তিনের গাজায় ‘নৃশংস অপরাধ’ বন্ধ এবং ‘নিরাপদ মানবিক করিডরের ব্যবস্থা’ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিজেদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। আগে তিনি তার বিবৃতিতে একাধিকবার ইসরায়েল দেশটির নাম উল্লেখ করলেও, এদিন তিনি এই নাম উচ্চারণ থেকে বিরত থাকেন। মনে হতেই পারে তিনি বিশ্ববাসীকেও এই নাম উচ্চারণে বিরত রাখতে এমনটি করেছেন।
সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে সোমবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়া উপলক্ষে এই বক্তব্য দেন সালমান বিন আবদুল আজিজ।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের হামলার মধ্যেই প্রথম রোজা রেখেছে গাজাবাসী