ইউরোপের তিন দেশ স্পেন, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়ে অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বেশ কয়েকমাসের আলোচনার পর অবশেষে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করলো দেশগুলো। নতুন এই স্বীকৃতির সাথে, এখন ১৯৩টি জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪৭টি দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র।
মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, “শুধু ঐতিহাসিক ন্যায়বিচারের প্রশ্ন নয়, শান্তি অর্জনের জন্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি একটি অপরিহার্য প্রয়োজনীয়তা।” তবে পদক্ষেপটি ইসরায়েলের বিপক্ষে নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। দ্বি-রাষ্ট্র নীতির মাধ্যমে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের সমাধান শীঘ্রই আসবে বলে মনে করেন সানচেজ।
ইউরোপের দেশ তিনটি বিশ্বাস করে, তাদের এই উদ্যোগ গাজা যুদ্ধে শক্তিশালী প্রভাব ফেলবে, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করবে অন্য দেশগুলোকেও।
গত সপ্তাহে এক সমন্বিত ঘোষণায় নরওয়ে, স্পেন ও আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এই পরিকল্পনার কথা জানান। মঙ্গলবার সকালে স্পেন এবং আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রিসভা আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। নরওয়েও একইদিনে তাদের স্বীকৃতি কার্যকর করে।
এদিকে ইউরোপের তিন দেশের সিদ্ধান্তে ফুঁসে উঠেছে ইসরায়েল। তিন দেশের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে তেল আবিব। উত্তেজনা বেড়েছে স্পেনের ভেতরেও। মাদ্রিদে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত এই সিদ্ধান্তকে “ইসরায়েলকে নির্মূল করার স্পষ্ট আহবান” বলে নিন্দা জানিয়েছেন।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির ফলে ২৭ দেশের ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যেও তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। ওয়াশিংটন এবং বেশিরভাগ পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলো জানায়, তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে ইচ্ছুক, তবে জেরুজালেমের চূড়ান্ত সীমানা বিষয়ে সম্মতি না হওয়া পর্যন্ত এই পদক্ষেপ নিবে না তারা।