পাকিস্তানি জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে দীর্ঘ এক টুইট জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি। যেহেতু ফিলিস্তিন প্রশ্নে ইরান ও পাকিস্তান একই নীতিতে বিশ্বাসী, তাই সীমান্ত সংঘাত ভুলে অন্তত ইসরাইল ইস্যুতে অবস্থান একই থাকছে তেহরান ও ইসলামাবাদের। পাশাপাশি, ইসলাম ও ইসলামী নীতিকে ধারণ করার ক্ষেত্রেও একই মত পোষণ করে দুই দেশ – টুইটে এমনটাই জানিয়েছেন ইরানি প্রেসিডেন্ট।
ঐতিহাসিকভাবে পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যকার সম্পর্কে সুসময় ও দুঃসময়-দুটোই ছিল। পাকিস্তানের জন্ম হবার পর থেকেই দুদেশ সুসম্পর্ক বজায় রাখে। তবে ১৯৭৯ সালের ইরান বিপ্লব এবং পাকিস্তানে ওয়াহাবি ধারার ইসলাম চর্চা বাড়তে থাকলে ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যে অবিশ্বাস বাড়তে থাকে।
এরপর নানা সময়ে নানা ইস্যুতে তেহরান ও ইসলামাবাদের মধ্যে টানাপড়েন চলে আসছে। সীমান্তে জঙ্গি তৎপরতা নিয়েও দুই দেশ পরস্পরকে দোষারোপ করে আসছে। আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানের সখ্যতার বিষয়টিও তেহরানের জন্য অস্বস্তির। তারপরও দু’দেশের মধ্যে সব কোন দ্বন্দ্ব দেখা যায়নি। তবে ফিলিস্তিনিদের জন্যে দুই দেশের এক নীতি ই আবারো দেশ দুটিকে এক সুতোয় বাঁধছে।
পুরো বিশ্ব যখন ইসরায়েলি বর্বরতায় নীরব তখন এই দুই দেশ নজিরবিহীন প্রতিবাদ করেছে।
পূর্ব খান ইউনিসে আবারও ইসরাইলের তাণ্ডবপূর্ব খান ইউনিসে আবারও ইসরাইলের তাণ্ডব
অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি গণহত্যার ব্যাপারে তেহরান ও ইসলামাবাদ উদ্বেগ জানিয়েছে এবং দু’দেশ অবিলম্বে এই যুদ্ধের অবসান চায়। তিনি জেরুজালেম আল-কুদসকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানান।
সোর্স :https://en.irna.ir/news/85453707/Iranian-president-s-message-to-people-of-Pakistan-in-Urdu