ব্রাসেলসে অবস্থিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্যরা হাঙ্গেরির ছয় মাসের ব্লক সভাপতিত্ব আংশিকভাবে বয়কট করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান এই মাসের শুরুতে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর নিজের “শান্তি মিশন” শুরু করার প্রতিক্রিয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হাঙ্গেরির সভাপতিত্ব লাভের প্রথম কয়েক দিনের মধ্যে, অরবান কিয়েভ, মস্কো, বেইজিং এবং ওয়াশিংটনে ন্যাটো সম্মেলনের জন্য সফর করেছেন। ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথেও সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। রাশিয়ার আগ্রাসনের পর কিয়েভে এটি অরবানের প্রথম সফর ছিল।
নিজের এই সফরকে শান্তি মিশন হিসেবে অভিহিত করেছেন অরবান। এসময় নিজেকে মস্কোতে ফলপ্রসূ আলোচনা করতে সক্ষম নেতা হিসেবে দাবি করেন তিনি। তার এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইইউর সদস্য রাষ্ট্র এবং হাঙ্গেরির ন্যাটো মিত্ররা দ্রুত সমালোচনা জানায়।
এছাড়াও সোমবার ইউরোপীয় কমিশন ঘোষণা করে, হাঙ্গেরির ছয় মাসের ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতিত্ব আংশিকভাবে বয়কট করা হবে। ইইউর নির্বাহী অফিস জানায়, শুধুমাত্র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে পাঠাবে ইইউ। ইইউর ২৭ কমিশনারের মধ্যে কেউ উপস্থিত থাকবেন না হাঙ্গেরির ডাকা সভাগুলোতে, যার মধ্যে ইইউ প্রেসিডেন্টও অন্তর্ভূক্ত রয়েছেন।
ইইউর সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় কঠোর সমালোচনা জানায় হাঙ্গেরি। ঘূর্ণায়মান সভাপতিত্বের উদ্দেশ্য হল সকল সদস্যদের নেতৃত্বের সুযোগ দেওয়া। কিন্তু ইইউ শুধুমাত্র তাদের পছন্দের দেশগুলোকেই সমর্থন জানাচ্ছে বলে অভিযোগ হাঙ্গেরির। হাঙ্গেরির ইউরোপীয় বিষয়ক মন্ত্রী জানোস বোকা সামাজিক মাধ্যমে এক বার্তায় জানান, “ইইউ তার সদস্য রাষ্ট্রদের গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। ইউরোপীয় কমিশন ইইউর একটি প্রতিষ্ঠান। সমস্ত সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক বিবেচনার উপর ভিত্তি করে নিতে পারে না কমিশন।”
Source: https://www.dw.com/en/european-commission-to-partly-boycott-hungarys-presidency/a-69674726