হিউম্যান রাইটস ওয়াচের একটি প্রতিবেদনে, ২৫শে ফেব্রুয়ারি বুরকিনা ফাসোতে সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যুর সংখ্যা সারাবিশ্বকে হতবাক করেছে৷ দেশটির সামরিক বাহিনীর চালানো নৃশংসতায় কমপক্ষে ৫৬ শিশুসহ ২২০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। কেবল সোরো গ্রামে ১৭৯ জনকে হত্যা করা হয়, অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী গ্রাম নন্দিনে হত্যাকান্ডে মৃতের সংখ্যা ৪৪।।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ঘটনার দিন একশো’রও বেশি সৈন্যবাহী একটি কনভয় গ্রামে আসার পর গ্রামবাসীকে তাদের বাড়িঘর থেকে বের করে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করতে থাকে। উক্ত ঘটনাকে, কাছাকাছি একটি সামরিক ক্যাম্পে হামলার পর ইসলামপন্থী যোদ্ধাদের সাহায্য করার দায়ে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক অভিযান ছিল বলে জানায় সামরিক বাহিনী।
নির্বিচারে সাধারণ নাগরিকদের হত্যার ব্যাপারে, বুরকিনা ফাসো কর্তৃপক্ষ এখনও নীরব ভূমিকা পালন করছে।
সহিংসতা ও বিদ্রোহ দমনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে, ২০২২ সাল থেকে সামরিক জান্তা দ্বারা শাসিত হচ্ছে বুরকিনা ফাসো। তবে সহিংসতা এখনো পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে, জিহাদি গোষ্ঠীগুলি দেশের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি নির্বিচারে হত্যা এবং জোরপূর্বক গুমের ঘটনা উল্লেখ করে, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধে অভিযুক্ত করেছে বুর্কিনা ফাসোকে।
বুরকিনা ফাসোর ঘটনাটি সে দেশের ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছে, যেখানে সামরিক ও বিদ্রোহী বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ নাগরিকদেরকে।
Source: https://www.africanews.com/2024/04/25/burkina-faso-soldiers-massacred-over-200-civilians-in-a-day-human-rights-watch-says/