পাঞ্জাব থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে নয়জন যাত্রীকে অপহরণ করে গুলি করে হত্যা করেছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। পাকিস্তানের বালোচিস্তান প্রদেশের নশকি এলাকায় এই ঘটনায় আলাদাভাবে গুলিবর্ষণের শিকার হয়ে আরও দুইজন নিহত হয়েছেন।
শনিবার ভোরের দিকে কুয়েটা-তাফতান মহাসড়কে সুলতান চরহাই এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ডেপুটি কমিশনার হাবিবুল্লাহ মুসাখেল জানিয়েছেন, প্রায় ১০-১২ জন বন্দুকধারী বাসটি আটক করে যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র পরীক্ষা করে নয়জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়।
নিরাপত্তা বাহিনী প্রায় দেড় ঘন্টা পর একটি সেতুর নিচে নিহতদের মরদেহগুলো উদ্ধার করে। তাদের মালামাল নেওয়া হয়েছে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। নিহতরা সবাই পাঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদ, মন্ডি বাহাউদ্দিন এবং গুজরানওয়ালার বাসিন্দা ছিলেন।
একই মহাসড়কে আলাদা একটি হামলায়, বন্দুকধারীদের বাধা অমান্য করে একটি গাড়ি এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাতে গুলি চালানো হয়। এতে দুইজন যাত্রী নিহত এবং চারজন আহত হন।
এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং দোষীদের শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন। বালোচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী মীর সরফরাজ বুগতি নিরাপত্তা পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার কথা জানিয়েছেন।